ঐতিহ্যের মাদ্রিদ ডার্বিতে জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে আতলেটিকো মাদ্রিদকে ২-০ গোলে হারিয়েছে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। রিয়ালের হয়ে গোলের দেখা পেয়েছেন চোট কাটিয়ে ফেরা করিম বেনজেমা এবং মার্কো আসেনসিও। সঙ্গে ম্যাচে পুরোটা সময় জুড়ে আলো ছড়িয়েছেন এই মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র। 

বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা রিয়াল ম্যাচের ১৬তম মিনিটেই এগিয়ে যায় বেনজেমার গোলে। ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আসেনসিও। পরে আর কোন দল গোল করতে না পারলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল। এই জয়ে লা লিগায় টানা সপ্তম জয়ের স্বাদ পেল কার্লো আনচেলত্তির দল। এতে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল তারা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেভিয়ার চেয়ে ৮ ও আতলেটিকোর চেয়ে ১৩ পয়েন্টে এগিয়ে রিয়াল।

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের লড়াইয়ের শুরুটা অবশ্য একটু ঢিমেতালে। ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথায় মাঠের অনেক নিচে নেমে এসে বেনজেমা আক্রমণ শুরু করেন। সেখান থেকে ফরোয়ার্ড রান করে বক্সে চলে আসতে না আসতেই পায়ে পেয়ে যান ভিনিয়াসের বাড়ানো ক্রস। দুর্দান্ত এক ভলিতে গোল করেন বেনজেমা, ম্যাচের শুরুতেই লিড পেয়ে যায় রিয়াল। এটি এই মৌসুমে লা লিগায় বেনজেমার তার ১৩তম গোল।

১ গোল হজম করেও আতলেটিকো তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। ৩৫তম মিনিটে রিয়ালের ডি-বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি কিক পেয়ে দূরের পোস্টে শট নেন অঁতোয়ান গ্রিজমান। তবে দারুণ নৈপুণ্যে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া।

বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণে ধার বাড়ায় রিয়াল। ফলাফল আসে দ্বিতীয়ার্ধের ১২ মিনিটে। ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে টনি ক্রুসের পাস বাঁ দিকে পেয়ে ভিনিসিয়াস ডি-বক্সে ডান দিকে ফাঁকায় থাকা আসেনসিওকে খুঁজে নেন। আর প্রথম ছোঁয়ায় কোনাকুনি শটে গোলটি করেন এই স্প্যানিয়ার্ড। তবে তুমুল চেষ্টা করে গেছে সিমিওনের অ্যাটলেটিকো। প্রথমার্ধে মাঠে না থাকলেও পরে এসে নামিয়েছেন সুয়ারেজ-জোয়াও ফেলিক্সদের। লাভ হয়নি তাতে। ২-০ গলের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।

টিআইএস