ব্রুনোর সঙ্গে উল্লাসে মাতলেন ওয়ান বিসাকা, ছুটে আসছেন কাভানি। গোলের দেখা পেয়েছেন তিনজনই /ছবি: সংগৃহীত

ম্যানইউ - সাউদাম্পটন
ওয়ান বিসাকা ১৮                           
র‍্যাশফোর্ড ২৫                      
বেদনারেক (আ.গো.) ৩৪                                     
কাভানি ৩৯                 
মার্শিয়াল ৬৯, ৯০                          
ম্যাকটমিনে ৭১                        
ব্রুনো ৮৭               
জেমস ৯০                 

টানা দুই ম্যাচে এক ড্র আর এক হারে শীর্ষস্থান খুইয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। জয়ে ফেরার জন্যে মরিয়া ছিল কোচ ওলে গুনার সোলশায়ারের দল। সেই রেড ডেভিলরা মঙ্গলবার রাতে রীতিমতো ছেলেখেলা করলো সাউদাম্পটনকে নিয়ে। ৯-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ছুঁয়েছে নিজেদের আর প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের কীর্তিও।

এক বছর আগেই সাউদাম্পটন লেস্টার সিটির কাছে হেরেছিল ৯-০ গোলে। দলটির সে দুঃস্বপ্ন আবারও ফিরল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। ইউনাইটেডের বড় জয়ের পথটা তৈরি হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে। সুইস মিডফিল্ডার আলেসান্দ্রে ইয়ানকোভিৎস লাল কার্ড দেখেন স্কট ম্যাকটমিনেকে ফাউল করে।

দশ জনের দলে পরিণত হওয়া সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ইউনাইটেড আক্রমণ শানাতে থাকে শুরু থেকে। যার ফল মিলল ১৮ মিনিটে, লুক শর ক্রসে পা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন অ্যারন ওয়ান বিসাকা। 

ঠিক সাত মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর কাজটা করেন মার্কাস র‍্যাশফোর্ড, ম্যাসন গ্রিনউডের পাস থেকে গোলটি করেন তিনি। ৩৪ মিনিটে আত্মঘাতী গোলটিতেও ছিল র‍্যাশফোর্ডের নাম। তার ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়েই তো নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন ইয়ান বেদনারেক। ম্যাচটা ততোক্ষণে চলে গেছে সফরকারীদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। মিনিট পাঁচেক পর গোল উৎসবে যোগ দেন এডিনসন কাভানি। রেড ডেভিলরা প্রথমার্ধ শেষ করে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে।

সাউদাম্পটন অবশ্য একবার ইউনাইটেডের জালে বল জড়িয়েছিল। চে অ্যাডামসের সে চেষ্টা বাতিল হয় অফসাইডের খড়গে। খানিকটা থিতিয়ে আসা ইউনাইটেড আবারও উজ্জীবিত হয় ৬৯ মিনিটে অ্যান্থনি মার্শিয়ালের গোলে। এর মিনিট দুয়েক পর ম্যাকটমিনের দূরপাল্লার চেষ্টা জড়ায় সাউদাম্পটন জালে, ৬-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড।

সফরকারীদের দুর্দশা আরও বাড়ে প্রথমার্ধে আত্মঘাতী গোল করা বেদনারেকের লাল কার্ডে, নিজেদের বিপদসীমায় মার্শিয়ালকে ফাউল করে। পেনাল্টি থেকে গোল করেন ব্রুনো ফের্নান্দেজ। এরপর মার্শিয়াল পান ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোলের দেখা। যোগ করা সময়ে সাউদাম্পটনের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকেন ড্যানিয়েল জেমস। ৯-০ ব্যবধান নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।

প্রিমিয়ার লিগে এটিই সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। সব মিলিয়ে অবশ্য এই ব্যবধানে জয়ের কীর্তি আছে তিন বার। ১৯৯৫ সালে ইপসউইচ টাউনের বিপক্ষে এই ব্যবধানে জিতেছিল কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসনের ইউনাইটেড, এরপর ২০১৯ সালে এই সাউদাম্পটনকেই ৯-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল লেস্টার সিটি।

এমন বড় জয়ের পরও অবশ্য ২২ ম্যাচে ১৩ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগের দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শীর্ষে থাকা সিটি ম্যাচ খেলেছে দুটো কম, সমান ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে আছে তালিকার চূড়ায়। আজ রাতে বার্নলিকে হারালে ব্যবধানটা আবারও তিনে নিয়ে আসবে কোচ পেপ গার্দিওলার দল ম্যানচেস্টার সিটি। তিনে থাকা লিভারপুল ২১ ম্যাচে অর্জন করেছে ৪০ পয়েন্ট।

এনইউ