বাংলাদেশের লিগে গোল বেশি বিদেশিদের
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের পাঁচ রাউন্ডে ম্যাচ হয়েছে ৩০টি। ১৩ দলের এই প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত গোল হয়েছে ৭৮টি। এই ৭৮ গোলের মাত্র ১৭ গোল দেশি ফুটবলারের পা থেকে এসেছে। বরাবরের মতো এবারও গোল স্কোরিং দক্ষতায় নিজেদের নৈপুণ্য দেখাচ্ছেন বিদেশিরা।
এই প্রসঙ্গে জাতীয় ফুটবল দলের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে বলেন, ‘প্রায় সব ক্লাবেই ফরোয়ার্ড লাইনে বিদেশি ফুটবলার খেলায়। ফলে তারা বেশি গোল করবে স্বাভাবিক। বিদেশি কোটা ও ফরোয়ার্ড লাইন নিয়ে আমি অনেক দিন থেকেই বলছি।’
বিজ্ঞাপন
৫ গোল করে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন বসুন্ধরা কিংসের রবসন ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ওমর জোবে। চার গোল করেছেন দু’জন। চট্টগ্রাম আবাহনীর নিক্সন ও মোহামেডানের সোলেমান দিয়াবাতে। আর তিনটি করে গোল আছে পাঁচজনের। কিংসের রাউল অস্কার, ঢাকা আবাহনীর ফ্রান্সিসকো, শেখ রাসেলের জিয়ান কারলো লোপেজ, শেখ জামালের সলোমন কিং ও সাইফ স্পোর্টিংয়ের জন ওকোলি।
দুই গোলের তালিকায় আছেন বাংলাদেশের কয়েকজন। ঢাকা আবাহনীর জুয়েল রানা, শেখ রাসেলের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মেহেদী হাসান রয়েল ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের নুরুল আবসার। একটি করে গোল রয়েছে বাংলাদেশের ৯ জন ফুটবলার। তবে যে দুটি আত্মঘাতী গোল হয়েছে দু’টিই করেছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা।
বিজ্ঞাপন
প্রিমিয়ার লিগে গোল করার দক্ষতায় বিদেশিরা বরাবরই এগিয়ে। পেছনের দিকে তাকালে দেখা যায় একবার ছাড়া আগের সব কয়টি লিগেই সর্বোচ্চ গোলদাতা বিদেশিরা। শুধু ২০০৯-১০ মৌসুমে ঢাকা আবাহনীর এনামুল হক ২১ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন। তবে এবারও বিদেশীরা ছড়ি ঘোরালেও দেশি ফুটবলারদের গোলের ধরণ ছিল মনে রাখার মতো। যেমন শেখ রাসেলের আব্দুল্লাহ, সাইফের ফয়সাল।
রহমতগঞ্জের বিপক্ষে বখতিয়ারের কর্ণার থেকে সাইড ভলিতে যেভাবে গোল করেছেন আব্দুল্লাহ তা দর্শকদের মনে থাকবে অনেক দিন। শেখ জামালের বিপক্ষে সাইফ স্পোর্টিংয়ের ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলও ছিল দৃষ্টিনন্দন।
দেশি ফুটবলারের দৃষ্টিনন্দন গোল চোখ এড়ায়নি জেমির, ‘অনেকের ভালো স্কোরিং ক্ষমতা আছে। এ রকম ভালো গোল আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।’
বুধবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিরতি। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ রাউন্ড।
এজেড/এমএইচ/এটি