ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো-লিওনেল মেসিরা ৩৫ পেরিয়েও দিব্যি খেলে যাচ্ছেন। তাই বলে ফুটবলারদের গড়পড়তা খেলার বয়সটা তো আর কমে যায়নি। ৩০ পেরোলেই ধীরে ধীরে ক্যারিয়ারের শেষের দিকে চলে যান খেলোয়াড়রা। অন্তত ইউরোপীয় মানের ফুটবলের চাপটা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে খেলোয়াড়দের।

নেইমারের বয়সটা এই সপ্তাহ দুয়েক আগে ছুঁয়ে ফেলেছে ৩০ এর চৌকাঠ, যেটা ফুটবলারদের ধীরে ধীরে ফুরিয়ে যাওয়ার বয়স। সেটা বুঝতে পারছেন নেইমারও। জানিয়েছেন চলতি বছরের শেষে আসন্ন বিশ্বকাপই হবে তার ‘শেষ’। এরপরের কোথাও যেতে চান, সেটাও অকপটেই জানিয়ে দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। জানালেন, পিএসজি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে খেলতে চান তিনি। 

তবে সেটা সহসাই ঘটছে না। বিদায়ের আগে একটা মৌসুম সেখানে খেলার ইচ্ছা রাখেন তিনি। এখন পিএসজির সঙ্গে ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত চুক্তি আছে তার। সম্প্রতি ফেনোমেনোস পডকাস্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেইমারকে প্রশ্ন করা হয়েছি পরবর্তী গন্তব্য সম্পর্কে। জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ব্রাজিলে ফিরবেন কি-না।

এর উত্তরে নেইমার বলেন, ‘আমি জানি না আর কখনো ব্রাজিলে ফিরব কি-না। এ নিয়ে আমারই বেশ সন্দেহ আছে। বরং যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলতে পারলে ভালো লাগবে আমার। সেখানে অন্তত একটা মৌসুমের জন্য হলেও খেলতে চাই আমি।’

এরপর খানিকটা রসিকতার সুরে নেইমার বললেন, ‘প্রথমত, সেখানে মৌসুমটা একটু ছোট। অন্তত তিন মাসের বিরতি পাবো সেখানে।’ ব্রাজিলিয়ানরা ঐতিহাসিকভাবেই একটু বেশি পার্টি করে থাকেন। নেইমারও তার ব্যতিক্রম নন। এ নিয়ে সমালোচনাও কম হয় না। এই রসিকতা দিয়ে যেন সমালোচকদেরও তীর্যক মন্তব্য উপহার দিলেন তিনি।

তবে এরপরই গম্ভীর সুরে বললেন, ‘আমি প্রায়ই আমার বন্ধুদের সঙ্গে কৌতুক করে বলে থাকি, ৩২ বছর বয়সেই অবসর নিয়ে নেব। তবে এটা নেহায়েতই একটা কৌতুক।’

তাহলে নেইমার আর কয় বছর খেলবেন? সে প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, ‘সত্যি বলতে, আমি মানসিকভাবে অবসন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত খেলে যাব। যদি আমার মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে, সঙ্গে শারীরিকভাবেও ভালো থাকি, তাহলে আরও কিছু বছর খেলে যেতে পারব বলে মনে হয়। তবে আমার মানসিক স্বাস্থ্যটা এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

এনইউ