চলমান বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাচন নানাভাবে আলোচনায়। হকি ফেডারেশনের কাউন্সিলর হতে পারেননি হকি অঙ্গনে দীর্ঘদিন কাজ করা সাজেদ এএ আদেল। এ নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আপত্তি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাবেক খেলোয়াড় ও সংগঠক। এবার তিনি ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বরাবর চিঠি দিয়েছেন। 

ঢাকা ইউনাইটেডের হয়ে সাজেদ আদেল এবং কম্বাইন্ড স্পোর্টিংয়ের পক্ষে জহিরুল ইসলাম মিতুল পৃথক দু'টো চিঠি দিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যানও। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে দেওয়া দুই সংগঠকের চিঠি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অফিস গ্রহণ  করেছে। চিঠি দুটি পৃথক হলেও চিঠির ভাষা ও দাবি একই। দুটি চিঠিতেই হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে পুন:তফসিল দাবি করা হয়েছে। পুন:তফসিল দাবি করার পেছনে দুই সংগঠক কাউন্সিলরশীপ নিয়ে অনিয়ম এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক গঠিত নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতদুষ্টতাকে উল্লেখ করেছেন। 

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ফেডারেশনগুলোর অভিভাবক। ফেডারেশনগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা হয়েও এবার হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কিছু ক্ষেত্রে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে প্রত্যাহারের আগেই প্রার্থীদের কাছ থেকে অগ্রিম লিখিত নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করাটা অত্যন্ত সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী প্রত্যাহারের সুনির্দিষ্ট দিনের আগে প্রত্যাহার করা হবে না এমন চিঠি গ্রহণ করলেও অন্য দিকে কাউন্সিলরশীপ নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ আপত্তি গ্রহণের আগে নির্বাচন কমিশনে জমা হলেও সেগুলো আমলেই নেয়নি এটিও অনেক আলোচনার জন্ম দিচ্ছে।  

হকি ফেডারেশনের নির্বাচন বরাবরই নানা ঘটনার জন্ম দেয়। এবারই প্রথম দেশের শীর্ষ চার ক্লাব আবাহনী, মোহামেডান, উষা ও মেরিনার সাধারণ সম্পাদক পদে একজনকেই সম্মিলিত সমর্থন দিয়েছে। ঢাকার ক্লাবগুলোর সঙ্গে জেলা-বিভাগীয় সংগঠকরা একাত্নতা প্রকাশ করে একটি ঐক্যমতের প্যানেল গড়েছে। ঐক্যমতের প্যানেলে হকির অনেক পরীক্ষিত লোকের বদলে দুই জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর কমিটিতে প্রবেশ করায় আবার সমালোচনা হচ্ছে হকি অঙ্গনে। 

এজেড/