প্রতিদ্বন্দ্বীতার আভাস থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশনের নির্বাচনে ভোটাভুটি লাগছে না। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিনের নেতৃত্বাধীন প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ার অপেক্ষায়। আজ (রোববার) সকালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ২৪টি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে তুহিনের প্যানেল।

বক্সিং ফেডারশেনের নির্বাচনে ৩২ টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছিল। সব মনোনয়নপত্রই তুহিনের প্যানেলের ছিল। ফলে আজ (রোববার) জমা হওয়া ২৪ টি মনোনয়নপত্রের বাইরে আর কোনো মনোনয়নপত্র জমা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মনোনয়নপত্র কেউ প্রত্যাহার না করলেও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নির্দিষ্ট সময়ের পর সবাইকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত ঘোষণা করবে।
 
ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত হননি। তিনি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী না হলেও ভোটার তালিকার উপর আপত্তি জানিয়েছিলেন। তার দেওয়া ১২ আপত্তির মধ্যে ৬টি শেষ পর্যন্ত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আমলে নিয়ে বাদ দেয়। 

দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকে বক্সিংয়ের মান উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্য তুহিনের, ‘গত চার বছরের মধ্যে করোনার জন্য দুই বছরের বেশি সময় কেটে গেছে। গত মেয়াদের অভিজ্ঞতা দিয়ে সামনের মেয়াদে ভালো কিছু করতে চাই। বিশেষ করে প্রশিক্ষণে জোর দেব। কমনওয়েলথের জন্য যে ক্যাম্প চলছে সেটা এসএ গেমস পর্যন্ত চালিয়ে নেব। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বক্সিংয়ের সাফল্য আনতে চাই।’
 
মাজহারুল ইসলাম তুহিন মূলত সাবেক ফুটবলার। বক্সিং ফেডারেশনের গত নির্বাচনে এমএ কুদ্দুসকে হারিয়ে সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। তুহিন বক্সিং ফেডারেশনের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিংয়ের সাধারণ সম্পাদক। ভিক্টোরিয়া ক্লাব গত বছর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল লিগ থেকে অবনমিত হয়েছে।

মনোয়নপত্র জমা হয়েছে : 

সহ-সভাপতি : সর্দার সেলিম আহমেদ, নিজাম উদ্দিন চৌধুরি, এসএম মোয়াজ্জেম রশিদী দোজা, সৈয়দা তসলিমা আক্তার 
সাধারণ সম্পাদক : সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম (তুহিন) 
যুগ্ম সম্পাদক : মোতালেব, ওমর ফারুক কোষাধ্যক্ষ: আশরাফুর রহমান কাজল 
সদস্য : সৈয়দ মহিউদ্দিন আহমেদ, মিনহাজ উদ্দিন, জহির উদ্দিন চৌধুরি, কাজী শাহাদাৎ হোসেন, আব্দুল হাই মামুন, শফিউল আজম, আদনান হারুন, জুলফিকার আলী, আব্দুল হান্নান, হান্নান চৌধুরি বাবু, নাজিরুল্লা পাটোয়ারী, সফিকুল ইসলাম, আক্তারুজ্জামান আউয়াল, সুমন দে, দিলীপ কুমার রায় ও সেলিম মিয়া।

এজেড/এমএইচ/এটি