কোনিয়ার অ্যাথলেটিকস ফিল্ডে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমান। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে তিনি একমাত্র স্প্রিন্টার ফাইনালে উঠেছেন। ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে ষষ্ঠ হলেও দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে তিনি স্বর্ণ জিততে চান। 

এক সময় দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানবের খেতাব ছিল বাংলাদেশের। সেই খেতাব পুনরুদ্ধারের জন্য প্রস্তুত হতে চান ইমরান, ‘আমি সাফ গেমসে স্বর্ণ জিততে চাই। সে লক্ষ্যে নিজেকে প্রস্তুত করব।’ সাফ গেমস আগামী বছর পাকিস্তানে হওয়ার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে গেছে। ইমরান সেই সাফ গেমসকে টার্গেট করেছেন ৷ 

ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের প্রথম হিটে তিনি ১০.০১ সেকেন্ড দৌড়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। ফাইনালে এই টাইমিং রাখতে পারলে পদকের সম্ভাবনা ছিল। ফাইনালে তিনি ১০.১৭ সেকেন্ড দৌড়ে ৬ষ্ঠ হয়েছেন। পদক না পাওয়ায় তিনি হতাশ হননি, ‘আমার সাথে যারা দৌড়েছে তারা বিশ্বমানের। ১০.১৭ টাইমিং খারাপ নয় ৷ আমি ধাপে ধাপে এগুতে চাই।’ 

ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস দলের ম্যানেজার সাবেক অ্যাথলেট ফরহাদ জেসমিন লিটি ফাইনালে ইমরানের টাইমিং সম্পর্কে বলেন, ‘পুনরায় হিট ও ফাইনালের মধ্যে সময় কম ছিল। কিছুটা ক্লান্ত ছিল সে। এর মধ্যে আবার ফলস স্টার্ট হয়েছে। ফলস স্টার্টেও শক্তি যায় অনেক। সেমিফাইনালে চারটা ফলস স্টার্ট (হিট দুই ও তিন মিলিয়ে) ও ফাইনালে একটা ফলস স্টার্ট। এত ফলস কখনো দেখিনি।’ 

গত পরশু দিন তিনি ১০.০১ সেকেন্ড টাইমিং করেছিলেন। গতকাল তিনবার দৌড়ালেও তিনি সেই টাইমিং করতে পারেননি। গতকাল বাতিল হওয়া সেমিফাইনাল হিটে করেছিলেন ১০.২২। সেই হিট পুনরায় না হলে ফাইনাল খেলা হতো না তাঁর। অনেকটা সৌভাগ্যবশতভাবে ফাইনাল খেললেও তিনি এটা স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন, ‘অ্যাথলেটিকসে এ রকম হতে পারেই। পুনরায় সুযোগ পাওয়ায় আমার জন্য ভালো হয়েছে।’ টাইমিংয়ের ধারাবাহিকতা না থাকার কারণ সম্পর্কে ইনজুরিকে সামনে আনলেন, ‘আসলে আমি ব্যথা নিয়ে খেলছি। তাই স্বাভাবিক হচ্ছে না বিষয়গুলো।’ 

ইসলামিক গেমসে তার এই সাফল্যের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি, ‘ফেডারেশন আমার প্রতি আস্থা রেখেছে। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনও যথেষ্ট সহায়তা করেছে। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। সামনে সবার সহযোগিতা নিয়ে ভালো কিছু করতে চাই।’

এজেড/এইচএমএ