একশ’র বেশি চেয়ার অথচ সাংবাদিক বসে আছেন মাত্র একজন। ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের মেইন প্রেস সেন্টারের (এমপিসি) চিত্র। গেমসের সাত দিন পার হলেও একই হাল মিডিয়া সেন্টারের। 

ইসলামিক গেমসে নেই ইংল্যান্ড। তবু বৃটেনের এক সাংবাদিক ইনসাইড দ্য গেমসের প্রতিনিধিকেই একমাত্র নিয়মিত দেখা যায় প্রেস সেন্টারে। ইসলামিক স্পোর্টস সলিডারিটি ফেডারেশনের সঙ্গে ইনসাইড দ্য গেমসের চুক্তি থাকায় তিনি এসেছেন। 

যে কোনো গেমসের অন্যতম প্রাণ প্রেস সেন্টার। ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে আয়োজকরা সুবিশাল হল রুম রেখেছেন প্রেসের জন্য। সাংবাদিকদের ক্লান্তি কাটানোর জন্য সেই হলের পাশে বিলিয়ার্ড বোর্ড এবং টেবিল টেনিসও রয়েছে। এরপরও প্রেস সেন্টার সাংবাদিক শুন্য!

৫০টির বেশি দেশ এই গেমসে অংশগ্রহণ করছে। প্রায় শতাধিক বিদেশি সাংবাদিক এই গেমস কাভার করতে কোনিয়া এসেছেন। সেই সাংবাদিকরা প্রেস সেন্টার মুখো হন না। মিডিয়া অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড সংগ্রহের পর আর এখানে আসেন না তেমন কেউ। মরক্কোর সাংবাদিক জিবাল প্রেস সেন্টার বিমুখতার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘সাংবাদিকদের হোটেল থেকে ভেন্যুতে ভেন্যুতে গাড়ি দিচ্ছে। ভেন্যু থেকেই সাংবাদিকরা আবার হোটেলগামী হন।’  হোটেল থেকে ভেন্যুতে সাংবাদিকরা গাড়ি পেলেও এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে যেতে অবশ্য বেশ পরিবহন ঝক্কি পোহাতে হয়। অনেক সময় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে করতে আরেক খেলা শেষও হয়ে যায়৷ 

আন্তর্জাতিক গেমসগুলোতে বড় ভেন্যুগুলোর পাশেই থাকে প্রেস সেন্টার। কোনিয়ায় প্রেস সেন্টার একেবারে আলাদা জায়গায়। প্রেস সেন্টারের আশে পাশে নেই কোনো ভেন্যু। প্রেস সেন্টারটিও বেশ নিভৃত এলাকায়। ফলে সরগরমের পরিবর্তে নির্জীব থাকে সেন্টারটি। 

গেমসে মিডিয়া কমিটির উপদেষ্টা তুলাই প্রেস সেন্টারের সাংবাদিক শুন্যতা সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা নিচ তলায় মিডিয়া অ্যাক্রিডিটেশন সেন্টার করেছি এবং দ্বিতীয় তলায় কাজের জায়গা। সাংবাদিকদের জন্য সকল সুযোগ সুবিধাই রাখা হয়েছে। তারা তাদের সুযোগ ও প্রয়োজন অনুযায়ী এটি ব্যবহার করেন।’ 

মেইন প্রেস সেন্টার সাধারণত তথ্য ও রেকর্ডের ভান্ডার। এখানে অবশ্য তেমনটি নয়। আয়োজক মিডিয়া কমিটির লোকজনই সারাদিন নানা দাপ্তরিক কাজ করেন। বিদেশি সাংবাদিকরা শুধু কার্ড সংগ্রহ করতেই আসেন! 

এজেড/এটি