দেশে করোনার প্রকোপ বেড়েছে অনেক। প্রতিদিনই আক্রান্তের ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস। 

এই আজ (শুক্রবার) এক সঙ্গে অনেক ডিসিপ্লিন শুরু হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও মাস্ক পরে খেলায় অংশ নেওয়া সম্ভব নয়। শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে চলছে টেবিল টেনিস। টেবিল টেনিসের অন্যতম তারকা সোনাম সুলতানা সোমা মাস্ক না পড়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘টেবিল টেনিসে মাস্ক পরে খেলা সম্ভব না। সব সময় মুভমেন্টের ওপর থাকতে হয়।’ 

করোনা শঙ্কা নিয়ে খেলায় পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন এই ক্রীড়াবিদ, ‘মনের মধ্যে ভয় ও শঙ্কা তো কাজ করেই। এজন্য পারফরম্যান্সেও প্রভাব পড়াটা স্বাভাবিক। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন গেমসে অংশগ্রহনকারী খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তাদের করোনা পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছে গেমসের আয়োজক বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। 

আজ (শুক্রবার) কয়েকটি ডিসিপ্লিন শুরু হলেও করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট প্রদশর্ন ছাড়াই গেমসে অংশগ্রহণের অভিযোগ করেছেন অনেক ক্রীড়াবিদ। সোনাম এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সবার নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে খেলা উচিত। এতে সংশয় দূর হবে। প্রতিপক্ষ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে নিজের মনে সংশয় থাকে।’

গেমসে পদক জয়ের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য লড়াইয়ের থাকে মূলত সার্ভিসেস বাহিনী। তাদের অনেকেই রাষ্ট্রীয় সংস্থার কাজে জড়িত। করোনাযুদ্ধে তারা ফ্রন্টলাইনার। তাই এক সার্ভিসেস বাহিনীর খেলোয়াড়রা আরেক সার্ভিসেস বাহিনীর খেলোয়াড়দের নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা খুব স্বাভাবিক ঘটনা হবে। 

এই বিতর্ক এড়ানোর জন্য নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক চান সোমা, ‘অভিযোগ উঠার আগেই এ সব ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’ 

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপ-মহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনূর বলেন,  ‘আমরা করোনা সতর্কতা মেনেই গেমস আয়োজন করছি। সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন, খেলোয়াড়দের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। পাশাপাশি আামাদের মেডিকেল কমিটি প্রস্তুত।’
 
এজেড/এমএইচ