কারাতে কাণ্ড : কোচ ‘খালাস’, ম্যানেজারের লঘু ‘শাস্তি’ !
এশিয়ান গেমসে কারাতে কাণ্ড বাংলাদেশকে লজ্জায় ফেলেছিল। হাসান খান সান তার ইভেন্টে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত থাকতে পারেননি। এজন্য ঐ ইভেন্টে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ করা হয়নি। এনিয়ে সেসময়েই ব্যাপক সমালোচনায় পড়তে হয় বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে।
চীনের হাংজুতে ঘটা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় কারাতে ফেডারেশন তদন্ত কমিটি গঠন করে। সাধারন সম্পাদক ক্যা শৈ হ্লা নিজেই আহ্বায়ক, আজহার আলী হিরা ও আলেকজান্ডার বোকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। সেই তদন্ত কমিটি খেলোয়াড় সান, ম্যানেজার ইকবাল ও কোচ মোয়াজ্জেম হোসেন পৃথক পৃথক চিঠি দেয়। তিন জনের চিঠির জবাব পর্যালোচনা করে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সেই প্রতিবেদনে ম্যানেজার ইকবালকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক বছর এবং কোচ সেন্টু ও খেলোয়াড় হাসানকে চূড়ান্ত সতর্কের সুপারিশ রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তদন্ত কমিটির কাছে অভিযুক্ত ম্যানেজার ও কোচ দুই জনই খেলোয়াড়ের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছেন। অন্য দিকে খেলোয়াড় পুরো ঘটনা তথ্য প্রমাণ সহ সকল কিছু তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। ফলে ম্যানেজারের গাফিলতি হাতেনাতে ধরা পড়েছে। ম্যানেজার গুরুতর অপরাধ করলেও মাত্র এক বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন সেন্টু। তারও দায় চিহ্নিত হলেও সাফ গেমসের প্রস্তুতির জন্য তাকে বিশেষ বিবেচনায় ক্ষমা প্রদর্শনের দিকে হেটেছে তদন্ত কমিটি। তাকে শুধুমাত্র চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়েছে ভবিষ্যতে এমন হলে শাস্তির বুলি আওড়ানো হয়েছে। নির্দোষ কারাতেকা হাসান খান সানকেও তদন্ত কমিটি শাসানোমূলক সুপারিশ করেছে।
তদন্ত রিপোর্ট গোপনীয় বিষয় হলেও কারাতে অঙ্গনে অনেকেই জেনেছেন ইতোমধ্যে। কমিটির সুপারিশ নিয়ে নাখোশ অনেকেই। এর মধ্যে একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে বলেন,‘ ম্যানেজারকে আরো বড় শাস্তি দেয়া উচিত ছিল এবং কোচও শাস্তির আওতায় আনা দরকার ছিল। তদন্ত কমিটি দুই জনকেই লঘু দণ্ড দিয়েছে। অন্য দিকে মোস্তাফিজকে পাঁচ বছরের বহিষ্কার করা হয়েছে অন্য ফেডারেশনের কর্মকান্ডের জন্য। এতে পক্ষপাত ও স্বজনপ্রীতির প্রশ্ন থেকেই যায়।’
তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নির্বাহী কমিটির সভায় উথাপিত হবে। সভায় প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে। তদন্ত রিপোর্ট, কমিটির সভা ও ফেডারেশনের সামগ্রিক বিষয়ে সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে অসংখ্যবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। এশিয়ান গেমসের ঘটনার পর থেকে তিনি সবার ফোন রিসিভ করছেন না।
এজেড/জেএ