বুদ্ধির খেলা দাবা। খেলার মতো পড়াশোনাতেও বুদ্ধির ছাপ রেখেছেন তিন শীর্ষ নারী দাবাড়ু। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় তাসনিয়া অর্পা জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন। 

জাতীয় মহিলা দাবা প্রতিযোগিতায় গত দুই আসরেই শীর্ষ দশের মধ্যে ছিলেন অর্পা। অ-১৮ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্বও রয়েছে তার। রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়েছিলেন অর্পা। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ফাইভ অর্জন করেছেন এই দাবাড়ু।

এসএসসি’র পর এইচএসসিতে জিপিএ ফাইভ পেয়ে অর্পা বলেন, ‘খেলার পাশাপাশি পড়াশোনা সময়মতো চালিয়ে গেছি। দাবা আমার নেশা থাকলেও পড়াশোনায় কখনো গাফিলতি করিনি। পরবর্তী জীবনে পড়াশোনা প্রাধান্য থাকলেও দাবা চালিয়ে যাব।’

 

অনেক মেধাবী খেলোয়াড় পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ে খেলার জন্য। খেলা-পড়া সমানতালে চালানো তেমন চ্যালঞ্জ নয় বলে মনে করেন অর্পা, ‘এটা আসলে ইচ্ছের ওপর নির্ভর করে। সঠিক সময়ে খেলা ও পড়া হলে দু’টিই করা সম্ভব।’

জোনাল দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন জান্নাতুল ফেরদৌস। মতিঝিল মডেল থেকে ৪.০৮ পেয়ে এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন জান্নাতুল। এই ফলাফলে বেশ খুশি জান্নাত, ‘দাবাতেই আমি বেশ সময় দিয়েছি। পরীক্ষার আগে জোনাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আজারবাইজানে বিশ্বকাপ দাবাতে খেলেছি। আমার ফলাফল নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।’ নারী দাবায় আরেক পরিচিত মুখ নোশিন আঞ্জুম। একবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন নোশিন ৩.৯২ পেয়ে এইচএসসি পাশ করেছেন।

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলে চার জন এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাদের ফলাফল এখনো জানা যায়নি।

এজেড/এফআই