অ্যাথলেটিক্সে চ্যাম্পিয়ন বিকেএসপি, জুইয়ের জোড়া রেকর্ড সাঁতারে
শেখ কামাল ৩৮তম জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিক্সে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিকেএসপি ২৬ স্বর্ণ, ১২ রৌপ্য এবং ৯ ব্রোঞ্জসহ ৪৭ পদক নিয়ে সবার শীর্ষে। ৪ স্বর্ণ, ৫ রৌপ্য এবং ৬ ব্রোঞ্জে ১৫ পদকে নোয়াখালী জেলা ক্রীড়া সংস্থা দ্বিতীয়, ৩ স্বর্ণ, ১ রৌপ্য এবং ৩ ব্রোঞ্জে ৭ পদক নিয়ে ৩য় স্থানে কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
তিনদিন ব্যাপী জুনিয়র অ্যাথলেটিক্সে ৭টি জাতীয় রেকর্ড হয়েছে। ৩য় দিনে ২টি রেকর্ড হয়েছে। ৪০০মিঃ (কিশোরী) আজমি খাতুন, বিকেএসপির সময় নিয়েছেন ৫৮.৫৮ সে. পূর্বের রেকর্ড এই ইভেন্টে রাজবাড়ী জেলা ক্রীড়া সংস্থার চায়না খাতুনের, তিনি সময় নিয়েছিলেন ১:০০.০০ সেকেন্ড। ট্রিপল জাম্প (কিশোর) এ বিকেএসপির তামিম হোসাইন ১৪.৫৬ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। পূর্বে এই ইভেন্টে একই সংস্থার মিজবাহ আহমেদ ১৪.৪১ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছিলেন।
বিজ্ঞাপন
সাইফ পাওয়ারটেক ৩৬তম জাতীয় জুনিয়র সাঁতারে আজ দু'টি রেকর্ড হয়েছে। দুটি রেকর্ডই গড়েছেন বিকেএসপির জুই আক্তার। মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে দিনের শুরুতে মেয়েদের ১৫-১৭ বছর বিভাগে ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে ১:২৫:০৭ সেকেন্ড টাইমিংয়ে রেকর্ড গড়েন জুই। আগের রেকর্ড ছিল ২০১২ সালে সাগরখালী সুইমিং ক্লাবের মরিয়ম খাতুনের। এরপর বিকেলে ৮০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে নতুন রেকর্ড গড়েন জুই। তিনি সময় নেন ১১:০৪:৭৮ সেকেন্ড। এর আগের রেকর্ডটি ছিল এক যুগ আগের বাংলাদেশ আনসারের নাজমা খাতুনের। তিনি সময় নিয়েছিলেন ১১:২০:১৫ সেকেন্ড।
গত ফেব্রুয়ারিতে দিল্লীতে অনুষ্ঠিত বিমসটেক জুনিয়র ওয়াটার স্পোর্টস প্রতিযোগিতয় অংশ নিয়েছিলেন জুই। ভারতের সাঁতারুদের দেখে জুইয়ের উপলব্ধি, 'আমাদের চেয়ে ওরা অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা পায়। আমরা যদি বিদেশে কোচের অধীনে দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলন করতে পারি তাহলে আমাদেরও আন্তর্জাতিক পদক আসবে।'
বিজ্ঞাপন
কুষ্টিয়ার সাঁতারু জুই আক্তার বিকেএসপিতে দশম শ্রেণীতে পড়েছেন। ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত অংশ নেন বয়সভিত্তিক সাঁতারে। রেকর্ড গড়ার পর তার দৃষ্টি দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে। ২০১৬ সালের পর এসএ গেমসে সাঁতারে কোনও সোনার পদক আসেনি বাংলাদেশে। জুইয়ের আশা দেশের সেই আক্ষেপ ঘোচানোর, 'আমি আরও ভালোভাবে অনুশীলন করতে চাই। টাইমিংয়ে আরও উন্নতি করতে চাই। এসএ গেমসে যেন আমার হাত ধরে বাংলাদেশে আসে সোনার পদক।'
এজেড/এইচজেএস