গোপালগঞ্জের ১২ একরের মহিলা কমপ্লেক্স এখন কাবাডি ফেডারেশনের
জাতীয় খেলা কাবাডি। অথচ সেই কাবাডির নেই আন্তর্জাতিক মানের ভেন্যু। কাবাডি খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ, আবাসন ও অনুশীলনে রয়েছে নানা সীমাবদ্ধতা। কাবাডির উন্নয়ন ও প্রসারে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গোপালগঞ্জের মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সকে ২০ বছরের জন্য কাবাডি ফেডারেশনের অনুকূলে প্রদান করেছে।
বরাদ্দকৃত গোপালগঞ্জ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে ইনডোর জিমনেশিয়াম, সুইমিংপুল, হোস্টেল, দুটি খেলার মাঠ। সব মিলিয়ে ১২ একর জায়গা। কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ বলেন, 'কাবাডি গ্রাম-গঞ্জের খেলা। তাই আমরা গ্রামীণ পরিবেশে ভালো মানের খেলোয়াড় ও সারা বছর নিবিড় অনুশীলনে একটি সুন্দর কাবাডি কমপ্লেক্স করতে চাই। সেই লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সকে কাবাডির জন্য আবেদন করেছিলাম মাস দু'য়েক আগে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ৮ জুলাই কাবাডি ফেডারেশন বরাবর এই কমপ্লেক্স প্রদান করেছে।'
বিজ্ঞাপন
১২ একর জায়গা এবং বিদ্যমান কাঠামোর পরিবর্তন করতে হবে। যা সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ। কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এই ব্যাপারে বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কনসালটেন্ট প্রতিষ্টানের সঙ্গে আলোচনা করছি। যে ডিজাইন বা ম্যানেজম্যান্ট আমাদের জন্য উপযোগী হবে সেটা আমরা গ্রহণ করব। ফেডারেশনের নিজস্ব ফান্ড, মন্ত্রণালয়, বাইরের পৃষ্ঠপোষকতা সব মিলিয়েই এটি করা হবে। দুই-তিন বছরের মধ্যেই আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ কাবাডি কমপ্লেক্স করতে চাই। এখানে কাবাডির পাশাপাশি অন্য খেলার খেলোয়াড় কিংবা ফেডারেশনও প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে।'
প্রস্তাবিত কাবাডি কমপ্লেক্সে থাকবে পরিপূর্ণ একাডেমিক কার্যক্রম। থাকবে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল ছাড়াও পুরুষ ও নারী জাতীয় দলের অনুশীলন সুবিধা। ফিটনেস ট্রেইনার, রেফারিজ, কোচেস এবং অন্যান্য টেকনক্যিাল কার্যক্রম পরিচালিত হবে এ কমপ্লেক্সে। প্রস্তাবিত কাবাডি কমপ্লেক্সের নানা সুবিধাদি এমনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে যাতে কাবাডি খেলুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ স্থাপনা ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়। যা বাংলাদেশকে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাবে।
বিজ্ঞাপন
জেলা পর্যায়ে অনেক স্থাপনাই প্রকৃতভাবে ব্যবহার হয় না। আবার অনেক ফেডারেশন ঢাকার বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা। খেলাধূলা বিকেন্দ্রীকরণের উদ্দেশ্যে জাতীয় একটি ফেডারেশন জাতীয়ভাবে খেলোয়াড় তৈরি এবং সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া অবকাঠামোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাবাডিকে এই কমপ্লেক্স প্রদান বলে জানা গেছে।
এজেড/এইচজেএস