সাঁতারুর পাশাপাশি কোচদেরও শেখাতে চান মিশরীয় কোচ
বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশন গত কয়েক বছর ধরেই বিদেশি কোচের সন্ধানে ছিল। অ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব নেয়ার মাস চারেকের মধ্যেই মিশরীয় কোচ সাঈদ ম্যাকডিকে এনেছেন। আগামী বছর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য এসএ গেমস পর্যন্ত মূলত তার সঙ্গে ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি।
মিশরীয় কোচ সাঈদ ঢাকায় এসেছেন দিন তিনেক। মিরপুর সুইমিংপুল কমপ্লেক্সেই তিনি রয়েছেন। বাংলাদেশে এসে তার প্রতিক্রিয়া, 'আমার সঙ্গে বাংলাদেশের বেশ কয়েক বারই কথা হয়েছিল। অবশেষে এবার আসতে পারলাম, ভালো লাগছে। পাঁচ-ছয় মাস খুব স্বল্প সময়। চেষ্টা করব বাংলাদেশে একটি সুন্দর সাঁতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে।'
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। খাল-বিলে অনেকেই সাঁতার সহজাত ভাবে শেখেন। মিশরীয় কোচ সাঈদ সাঁতারকে একটু সাংগঠনিক সংষ্কৃতিতে আনতে চান, 'আমি জানি বাংলাদেশে সাঁতারের প্রতিভা অন্বেষণ করছে। সেখানে প্রতিভাবান সাঁতারুদের আধুনিক কলা-কৌশল শেখাতে চাই। সাঁতারুদের উন্নতির পাশাপাশি ভালো মানের সাঁতারু কোচ তৈরি করাও আমার লক্ষ্য। আমি চলে যাওয়ার পরেও যেন স্থানীয় কোচরা তরুণদের ভালো প্রশিক্ষণ দিতে পারে।’
বিশ্ব মানদন্ডে বাংলাদেশের সাঁতার অনেক পিছিয়ে। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ পদক জিতলেই বাংলাদেশে উঠে রব। সেই দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে ২০১৯ সালে আসেনি কোনো স্বর্ণপদক। তাই সেটাই প্রধান লক্ষ্য সাঈদের, 'এই সময়ের মধ্যে আমি সাতারুদের মান উন্নয়নের চেষ্টা করব। আমি আশাবাদী বাংলাদেশ গেমসে স্বর্ণ পদক জয়ের ব্যাপারে।'
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের সাঁতার এখনো হ্যান্ডটাইমিং নির্ভর। ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ডের সমস্যা কাটেনি। ঢাকায় এসে এই অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছে ইতোমধ্যে। এ নিয়ে কোচের মন্তব্য, 'পুলে এসে আমি বিষয়টি দেখেছি। আমার কাছে কিছু সরঞ্জাম রয়েছে। সেটা দিয়ে খেলোয়াড়দের টাইমিং পরিমাপ যতটুকু করা যায় চেষ্টা করব।'
মিশর বিশ্ব সাঁতারে তেমন প্রতিষ্ঠিত নাম নয়। তবে কোচ হিসেবে অবশ্য সাঈদ ম্যাকডির মোটামুটি নামডাক রয়েছে। তিনি আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কোচ ও পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। সাঁতারে নারী ও পুরুষ মিলিয়ে চল্লিশটির কাছাকাছি ইভেন্ট। একেক কোচের একেক বিষয়ে দক্ষতা থাকে। সাঈদ তার মূল দক্ষতার জায়গা সম্পর্কে বলেন, '৫০ মিটার থেকে হাজার মিটার ইভেন্ট সবই আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি সাঁতারুদের সঙ্গে বেশ নিবিড়ভাবে কাজ করি।'
ফুটবল, ক্রিকেটের মতো অন্য খেলাতেও বিদেশি কোচরা বাংলাদেশে এসে শুরুর দিকে নানা আশার বাণী শোনায়। কিছু দিন পর বাস্তবতা ও সীমাবদ্ধতার বৃত্তে পড়লে তখন ব্যর্থতা ঢাকতে নানা অজুহাত দেখানোর ঘটনা দেখা গেছে। সাতারের মিশরীয় কোচের অভিজ্ঞতা ও আন্তরিকতায় বাংলাদেশ কেমন ফলাফল পায় সেটাই দেখার বিষয়।
এজেড/এইচজেএস