বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির আজীবন সদস্য বিমান ভট্টাচার্য্য গত ৭ মার্চ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। প্রয়াত এই সাংবাদিক এবং ক্রীড়া লেখকের স্মরণে আজ এক স্মরণ সভা হয়েছিল। সেই সভায় তার স্মৃতিচারণ করেছেন সমিতির সিনিয়র সদস্য ও তার পরিবারের সদস্যরা।

বিশিষ্ট কলামিস্ট ও ক্রীড়া লেখক সমিতির সিনিয়র সদস্য ইকরামুজ্জামান বলেন, 'বিমান দাদাকে আমি প্রথম দেখেছি, বাংলার বানীর অফিসে। স্বাধীনতার আগে আমি উনাকে চিনতাম না। এত দায়িত্বশীল মানুষ আর হবে না। উনার অনেক স্মৃতি রয়ে গেছে। নীতির প্রশ্নে আপোষহীন ছিলেন।'

বর্তমান প্রজন্ম বিমান ভট্টাচার্য্যকে ক্রীড়া লেখক সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবেই পেয়েছেন। পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে যেমন ছিলেন এক নিষ্ঠ তেমনি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বেও। ক্রীড়া লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি রানা হাসান বলেন, 'বিমান দাকে নিয়ে কথা বললে নির্বাচন আসবেই। আমি বিমান দাদার সঙ্গে দুই নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কাজ করেছি। আমার উপলব্ধি হয়েছে, যদি সৎ লোকের সঙ্গে কাজ করা যায়, তাহলে অনেক কিছুই সহজ হয়ে যায়।'

রানা হাসানের মতোই বললেন আরেক সভাপতি সনৎ বাবলা। তিনি বলেন, 'বিমান দা ক্রীড়া লেখক সমিতির নির্বাচনকে এমন এক জায়গায় সেট করে দিয়ে গেছেন, একমাত্র সংগঠন এটি গঠনতন্ত্র অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। এমন নির্বাচন বাংলাদেশের অন্য কোথাও হয় কি না, জানি না। এই স্বচ্ছ নির্বাচনের নায়ক বিমান দা।'

বিমান ভট্টাচার্য্যরে নিবাস ছিল নারায়ণগঞ্জ। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি স্মৃতিচারণে বলেন, 'নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সঙ্গে বিমান দার অনেক স্মৃতি। তিনি বিনা পয়সায় প্রতিবছর নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের অডিট করে দিতেন।'

বিমান ভট্টাচার্যের মেয়ে শতাব্দী ভট্টাচার্য বলেন, ‘সব জায়গায় বাবা একই সততা সারাজীবন দেখিয়ে গেছেন। আমার বাবার কোনো শ্ত্রু ছিল না। আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন- যেন চিরশান্তিতে থাকেন।’ স্ত্রী শিখা চক্রবর্তী বলেন, ‘ধন্যবাদ, ক্রীড়া লেখক সমিতিকে এই আয়োজন করার বিমান চট্টাচার্যের জন্য। আমি খুবই অসুস্থ। সবাই আমার স্বামীর জন্য সবাই দোয়া করবেন।’ বিএসপিএ সাধারণ সম্পাদক সামন হোসেন বলেন, ‘বিমান দার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আমরা তার পরিবারের পাশে আছি। আমাদের চেষ্টা থাকবে তার আদর্শকে ধারণ করে আমাদের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখতে চাই।’

জাতীয় স্টেডিয়ামের মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটির সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত স্মরণসভা পরিচালনা করেন সমিতির সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান। এতে আরো স্মৃতি চারণ করেন আজীবন সদস্য সানাউল হক খান, সিনিয়র সদস্য সেলিম নজরুল হক, খায়রুল ইসলাম শাহীন, তালহা বিন নজরুল, জাহিদ রহমান, ইয়াহিয়া মুন্না, বিএসপিএ সহ-সভাপতি কাজী শহীদুল ইসলাম, রাকীবুর রহমান, মহিউদ্দিন পলাশ, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিন, বিমান ভট্টাচার্য্যরে স্ত্রী শিখা চক্রবর্তী, ছেলে স্বপ্নীল ভট্টাচার্য্য, মেয়ে শতাব্দী ভট্টাচার্য্য, মেয়ের জামাতা রবিন চৌধুরী।

এজেড/এইচজেএস