টোকিওতে চলছে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। যেখানে সবাইকে চমকে দিয়ে পুরুষ ১০০ মিটার স্প্রিন্ট জিতেছেন জ্যামাইকার অবলিক সেভিল। ৯.৭৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছেন উসাইন বোল্টের দেশ জ্যামাইকার এই স্প্রিন্টার। রুপা জিতেছেন একই দেশের কিশানে টম্পসন। তিনি ৯.৮২ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন। ৯.৮৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন নোয়াহ লাইলস।

২০১৬ রিও অলিম্পিকে উসাইন বোল্টের সোনা জয়ের পর প্রথমবারের মতো আবারও বিশ্ব শিরোপা জিতলেন জ্যামাইকার কোনো স্প্রিন্টার। টোকিওর গ্যালারিতে বসে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছেন স্প্রিন্টের ইতিহাসের কিংবদন্তি বোল্ট নিজেই। এমনকি সেভিলের জয়ের পর খুশিতে রীতিমতো লাফিয়েছেন সর্বকালের দ্রুততম মানব।

রেকর্ড ১১ বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বোল্ট বাজি ধরেছিলেন, ১০০ মিটারে জ্যামাইকানদের ‘ওয়ান-টু’ হবে। অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন লাইলসকে হারিয়ে টম্পসন ও সেভিল জয়ী হবেন- এমন কথাই বলেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার ভবিষ্যদ্বাণীই সত্যি হয়েছে দারুণভাবে। অ্যাথলেটরা ফিনিশ লাইন পেরোনোর পরই উল্লাসে ফেটে পড়লেন বোল্ট।

স্টেডিয়ামে তখন বাজতে শুরু করেছ বব মার্লের বিখ্যাত গান ‘বাফেলো সোলজার’। একই সময় উল্লাসে মেতেছিলেন জ্যামাইকান দর্শকদের বড় এক অংশও। আর তাদের আনন্দে সাড়া দিয়ে নিজের স্প্রিন্ট স্যুটের ওপরের অংশ ছিঁড়ে ফেলেন সেভিল। এক বছর আগে প্যারিস অলিম্পিকে ১০০ মিটারের ফাইনালে আটজনের মধ্যে অষ্টম হয়েছিলেন ২৪ বছর বয়সী সেভিল। 

প্যারিসে সেভিল সময় নিয়েছিলেন ৯.৯১ সেকেন্ড। আজ তিনি শুরু থেকেই বুঝিয়ে দেন বড় কিছুই করতে যাচ্ছেন। তার যা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে সেটি সতীর্থ কিশানে টম্পসনের সঙ্গে। অলিম্পিক ও গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নোয়াহ লাইলস শুরু থেকেই পিছিয়ে ছিলেন।

এএল