‘ক্রীড়াবিদদের প্রথম ধাপে ভ্যাকসিন দেওয়ার চেষ্টা চলছে’
ফাইল ছবি
জানুয়ারির শেষের দিকে বাংলাদেশে করোনা ভ্যাকসিন আসবে। অন্য সব অঙ্গনের মতো ক্রীড়াঙ্গনেও ভ্যাকসিন নিয়ে চলছে আলোচনা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশীপের উদ্বোধন করতে এসে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন ক্রীড়াবিদদের প্রথম ধাপেই ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘করোনা ভ্যাকসিনের বণ্টন নিয়ে জাতীয় কমিটি কাজ করছে। কেউ প্রথম ধাপে পাবে, আবার কেউ দ্বিতীয় ধাপে। ক্রীড়াবিদরা আমাদের দেশের অন্যতম সম্পদ। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় থেকে আমরা ইতোমধ্যে জাতীয় কমিটিকে সুপারিশ করেছি যেন প্রথম ধাপেই ক্রীড়াবিদদের দেয়া হয়।’
বিজ্ঞাপন
ফুটবল, ক্রিকেটসহ প্রায় ৪০টির বেশি ডিসিপ্লিন বাংলাদেশে রয়েছে। কোন ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়দের আগে দেয়া হবে এই ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘যেসব খেলা চলছে বা চলবে এদেরকে আগে দেয়ার চেষ্টা থাকবে। এরপর ক্রমান্বয়ে বাকিরাও পাবে।’
১-১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের দিনক্ষণ ঠিক করেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘করোনা ভ্যাকসিন আসলে করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তখন আমাদের এই গেমস আয়োজনে কোনো সমস্যা থাকবে না। করোনার জন্য ইতোমধ্যে গেমস পিছিয়েছে। রমজান ও আন্তর্জাতিক সূচি অনুযায়ী সব বিবেচনায় ১-১০ এপ্রিল সর্বোত্তম সময়।’
বিজ্ঞাপন
অ্যাথলেটিক্সকে বলা হয় ‘মাদার অফ অল ডিসিপ্লিন’। বাংলাদেশের অ্যাথলেটিক্স চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিক্স টার্ফ অনেক পুরনো এবং ছেঁড়া। এই টার্ফ মেয়াদউত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগেই।
অ্যাথলেটিক্স টার্ফে দাঁড়িয়েই মন্ত্রী নতুন টার্ফের আশ্বাস দিলেন, ‘অবশ্যই ভালো মানের অ্যাথলেটের জন্য টার্ফ দরকার। ইতোমধ্যে আমরা টার্ফের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। কার্যাদেশ হবে কিছু দিনের মধ্যেই। কার্যাদেশ হওয়ার পর বিদেশ থেকে টার্ফ আসবে। দ্রুত সময়ে ছাড়করণ হলে এই বছরের মধ্যেই নতুন টার্ফ বসবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।’
এজেড/এমএইচ