পুরস্কারে মূল্যায়িত হবেন শেখ কামাল টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষকরা
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে আধুনিকতা ও গতিশীলতা এনেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পুত্র শেখ কামাল। নিজে বাস্কেটবল, ক্রিকেট খেলেছেন পাশাপাশি গঠন করেছেন আবাহনী ক্লাব। খেলোয়াড় ও সংগঠক উভয় ভুমিকায় শেখ কামাল ছিলেন অগগ্রণ্য।
শেখ কামাল আন্তর্জাতিক দাবা টুর্নামেন্ট পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের অবদান অনেক। আমরা শেখ কামালের স্মরণে তাঁর জন্মদিন ৫ আগস্ট শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার প্রদান করেছি।’
বিজ্ঞাপন
শেখ কামালের নামে ক্রীড়াঙ্গনে আগে খুব বেশি টুর্নামেন্ট হয়নি। ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম আবাহনীর আয়োজনে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হয়। ফুটবলের পাশাপাশি দাবায় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হচ্ছে। দাবা ফেডারেশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ কামালের নামে আন্তর্জাতিক দাবা টুর্নামেন্ট হওয়ায় এই নামটি আন্তর্জাতিক দাবা অঙ্গনে পরিচিত ও সমাদৃত হবে। শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালকে নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান পৃষ্ঠপোষকতা করবে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে আমরা মূল্যায়ন করব। আমরা পৃষ্ঠপোষক হিসেবে একটি আলাদা ক্যাটাগরি রেখেছি।’
ক্রীড়াঙ্গনে শেখ কামালের অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু রয়েছেন। যারা বিভিন্ন সংস্থার পদেও রয়েছেন। তারা শেখ কামাল নামে সে রকম কোনো দৃশ্যমান টুর্নামেন্ট আয়োজন করেননি। ক্রীড়াঙ্গনে নতুন সংগঠক তরফদার রুহুল আমিন চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার বছর খানেক সময়ের মধ্যে বাফুফেকে শেখ কামালের নামে টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাব দেয়। চট্টগ্রাম আবাহনীর উদ্যোগে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট দুই বার হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দাবা ফেডারেশনের সহ-সভাপতি তরফদার রুহুল আমিন ফুটবলের পর এখন দাবায় শেখ কামাল আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বড় ভুমিকা রেখেছেন। শেখ কামালের টুর্নামেন্ট নিয়ে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করা এই সংগঠক বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনে শেখ কামালকে নিয়ে কাজ করার অনেক কিছু রয়েছে। শেখ কামালের নাম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দেয়ার কাজটি অব্যাহত রাখতে হবে। একজন ক্রীড়া সংগঠক এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে শেখ কামালের টুর্নামেন্টগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে চাই । অন্য সংগঠক এবং পৃষ্ঠপোষকরা এগিয়ে আসলে শেখ কামাল নিয়ে আরো বেশি টুরিং হবে। সেক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্ম শেখ কামালের ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদান সম্পর্কে প্রকৃত ইতিহাস জানবে।’
এজেড/এটি