প্রায় দেড় বছর করোনার জন্য আটকে ছিল সাঁতার প্রতিযোগিতা। করোনা সংক্রমণের হার কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশন আগামী মাসে বয়সভিত্তিক ও জাতীয় দুটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে। আগামী মাসের শেষের দিকে দূর পাল্লার সাঁতার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে ফেডারেশনের। 

ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ বলেন, ‘করোনার জন্য আমাদের কার্যক্রম খুবই ব্যাহত হয়েছে। অন্য ডিসিপ্লিনের তুলনায় আমাদের ঝুঁকি একটু বেশি। সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বিবেচনা আমরা প্রতিযোগিতা আয়োজন করিনি। ভ্যাক্সিনেশন বাড়ায় ও করোনা সংক্রমণের হার কমায় আমরা প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে যাচ্ছি।’

অক্টোবরের ৩ থেকে ৬ এই সময়ে বয়সভিত্তিক ও ২১-২৪ জাতীয় সাঁতারের সুচি হিসেবে অধিভুক্ত সংস্থা গুলোকে ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছে ফেডারেশন। 

বয়সভিত্তিক ও জাতীয় সাঁতারের আগে পরীক্ষামুলক একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে ফেডারেশন। ২০ সেপ্টেম্বর মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে দ্বিতীয়বারের মতো মাস্টার্স সাঁতার আয়োজন করে ফেডারেশন। অনেক সিনিয়র নারী-পুরুষ সাঁতারু এতে অংশ নেন। সবাই ফিরে যান তাদের পুরোনো স্মৃতিতে। অনেকের সঙ্গে অনেকের বেশ কয়েক বছর পর দেখা। মাস্টার্স প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দারুণ এক মেলবন্ধন হয়। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সাঁতার ফেডারেশন এ আয়োজন করল। 

পুরুষদের পাশাপাশি অনেক সাবেক নারী সাঁতারু অংশ নিয়েছে। ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য ও সাবেক তারকা সাঁতারু নিবেদিতা দাস বলেন, ‘মাস্টার্স প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ফেডারেশনের সঙ্গে সাবেক সাঁতারুদের একটি যোগাযোগের মাধ্যম হলো। অনেক সিনিয়র আপা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে।’ মাস্টার্স প্রতিযোগিতা এক দিনের অনুষ্ঠান ছিল। সেটি ভালোভাবে শেষ হওয়ায় ফেডারেশন জাতীয় ও বয়সভিত্তিক আয়োজনে আরো তৎপর হয়েছে। 

করোনায় দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেক প্রভাব পড়েছে। খেলাধুলা একেবারে বন্ধ ছিল ২০২০ সালের মার্চ থেকে টানা কয়েক মাস। ২০২০ সালের আগস্ট সেপ্টেম্বর থেকে খেলাধুলা স্বল্প পরিসরে আয়োজন শুরু করে কিছু ফেডারেশন। গত দেড় বছরে সব ফেডারেশনে অল্প পরিসরে কিছু করলেও সাঁতার ফেডারেশন একেবারে নিষ্ক্রিয় ছিল। সাঁতার ফেডারেশনের অন্যতম আয়ের খাত প্রশিক্ষণ সেটা শুরু হয়েছে অল্প কিছু দিন ধরে। 

এজেড/এটি