নেপাল এসএ গেমসে সাইক্লিংয়ের নিয়মিত ইভেন্ট ছাড়াও মাউন্টেইন বাইকে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কোন পদকই আসেনি। এবার এই ইভেন্টটিকে ধরেই দক্ষিণ এশীয় গেমসে পদক জয়ের স্বপ্ন দেখছেন কর্মকর্তারা। 

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাহের উল আলম চৌধুরী স্বপন বলেন, ‘আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছি নিয়মিত অনুশীলনের জন্য। তিনি অনুমতি দিয়েছেন। তাই আমরা বান্দরবানে নিয়মিত অনুশীলন করবো। যাতে এসএ গেমসে পদক জিততে পারি।’ 

উন্নত বিশ্বে সাইক্লিং হয় ভেলোড্রামে। বাংলাদেশে ভেলোড্রাম নেই। কখনো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে কখনো হাতিরঝিলে- এভাবে চলে সাইক্লিং প্রতিযোগিতা। তাহের উল আলম বললেন, ‘একটি ভেলোড্রামের জন্য অনেকের কাছেই গিয়েছি। কেউ কেউ আশ্বাস দিয়েছেন। এই ভেলোড্রামটি পেলে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে দেশকে একটি পদক এনে দিতে পারতাম.’

বুধবার মুজিব শতবর্ষ দুরন্ত মাউন্টেন বাইক রেসের এক সংবাদ সম্মেলনে এসে কথাগুলো বলেন সাইক্লিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাহের উল আলম চৌধুরী। এ সময় সাবেক তারকা ফুটবলার ও ফেডারেশনের সহসভাপতি আবদুল গাফফার এবং আরএফএল বাইকের বিপণন প্রধান শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মাউন্টেইন বাইকের ১০০ কিলোমিটার রেসে অংশ নিচ্ছেন ১০০ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী সাইক্লিষ্ট। বান্দরবানের রাজার মাঠ থেকে শুরু হয়ে নীলগিরী অতিক্রম করে নিল দিগন্ত পর্যটন কেন্দ্র থেকে ইউটার্ন নিয়ে মিলনছড়ি পুলিশ চেকপোস্টে খেলা শেষ করবেন সাইক্লিষ্টরা। এই প্রতিযোগিতা থেকে উদীয়মান সাইক্লিষ্টদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষন করানো হবে বলে জানান আবদুল গাফফার।

এজেড