বিওএ’তে শাহেদের ‘হ্যাটট্রিক’
দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্রীড়া সংস্থা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। এই সংস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদ মহাসচিব। সেই মহাসচিব পদে টানা তিন বার নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন সৈয়দ শাহেদ রেজা।
আজ (বৃহস্পতিবার) ছিল নির্বাচন উপলক্ষ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন। মহাসচিব পদে সৈয়দ শাহেদ রেজাই একমাত্র মনোনয়ন জমা দেন। এই পদে একাধিক মনোনয়ন জমা না পড়ায় তিনিই পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার অপেক্ষায়। ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের দিন। ওই দিন তিনি প্রত্যাহার না করলে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮ ডিসেম্বর তৃতীয় বারের মহাসচিব নির্বাচিত হবেন শাহেদ রেজা।
টানা তৃতীয়বারের মতো মহাসচিব হওয়ার পথে শাহেদ রেজা অনুভূতি প্রকাশ করেন এভাবে, ‘প্রথমে আমি আমার সকল কাউন্সিলরদের ধন্যবাদ জানাই যারা আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন। ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করব।’
২০১৩ সালে সৈয়দ শাহেদ রেজা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন। চার বছর মেয়াদী কমিটিতে চার বছর পর পুনরায় ২০১৭ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি যুব বাংলাদেশ গেমস আয়োজন করেন।
বিজ্ঞাপন
যেটা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বড় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে এবং আন্তর্জাতিকভাবেও এর স্বীকৃতি মিলেছে। তৃতীয়বার দায়িত্ব নেওয়ার আগে সেই যুব গেমস দিয়েই যাত্রা শুরু করার পরিকল্পনা, ‘একবার যুব গেমস আরেক বার বাংলাদেশ গেমস। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ গেমস হয়েছে। আগামী বছর অনেকগুলো আন্তর্জাতিক গেমস। কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর আন্তর্জাতিক কমিটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঘরোয়া গেমসের সূচি ঠিক করা হবে।’
দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর অলিম্পিক ভিলেজ প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনা করেছিল শাহেদ রেজার নেতৃত্বাধীন কমিটি। তৃতীয় মেয়াদে সেই গেমস ভিলেজ বাস্তবায়নে আরও একটু অগ্রসর হতে চান দেশের এই শীর্ষ ক্রীড়া সংগঠক, ‘আমরা সাফ গেমস আয়োজন করেছি। কমনওয়েলথ, এশিয়ান গেমস আয়োজন করার মতো ভিলেজ আমাদের নেই। এজন্য আমরা ভিলেজের জন্য জায়গা খুজছি। আশা করা যাচ্ছে বছর দু’য়েকের মধ্যে এই বিষয়ে ইতিবাচক কিছু হবে।’
সৈয়দ শাহেদ রেজা ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো যখন বিওএ মহাসচিবের দায়িত্ব নেন তখন তিনি কুয়েতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতও ছিলেন। শাহেদ রেজা বিওএ মহাসচিব হওয়ার আগে হ্যান্ডবল, গলফসহ দেশের বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার অনেক কমিটিতে ছিলেন।
এজেড/এমএইচ/এটি
বিজ্ঞাপন