ভ্যাকসিন নিতে প্রস্তুত নিয়াজ, তবে অনাগ্রহ জিয়াউরের
দেশে ইতোমধ্যে কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে জরুরি সেক্টরে কাজ করা ব্যক্তিরা আগ্রহের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। জরুরি সেক্টর ছাড়াও দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জন্য আলাদা তালিকা হচ্ছে। সেই তালিকায় থাকবেন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরাও। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে এ রকম একটি তালিকা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে চাওয়া হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আদেশপ্রাপ্ত হয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আজ অনেক ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছে বরেণ্য ক্রীড়াবিদদের নাম দিতে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চিঠি আজ বুধবার আগে হাতে পেয়েছেন দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম। তিনি এই প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘সরকার বরেণ্য ব্যক্তিত্বের মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনকে অর্ন্তভূক্ত করায় প্রথমে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমাদের দাবায় পাঁচজন গ্র্যান্ডমাস্টার রয়েছেন এবং রাণী হামিদের মতো ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। আমরা তাদের সাথে আলোচনা করে নাম পাঠাব।’
বিজ্ঞাপন
তিন কর্মদিবসের মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলোকে বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের নাম দিতে হবে। এর আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সাধারণ চিঠিতে আগ্রহী ক্রীড়াবিদ/সংগঠকের নাম চেয়েছিল। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে দাবা ফেডারেশন কয়েকজন গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে আলোচনা করেছে।
উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ ভ্যাকসিন নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার ভ্যাকসিন নিতে অনাগ্রহী। বাকি তিন গ্র্যান্ডমাস্টার রিফাত বিন সাত্তার, আব্দুল্লাহ আল রাকিব ও এনামুল হোসেন রাজীব এখনো চূড়ান্ত কিছু জানাননি।
বিজ্ঞাপন
দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজের আগ্রহ সম্পর্কে বলেন, ‘নিয়াজ শুধু দাবা নয় বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের এক আইকন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আগের চিঠিতেই তিনি আমাদের সম্মতি দিয়েছেন। ফলে তার নাম স্বাভাবিকভাবেই বরেণ্য ব্যক্তিত্বের আলাদা তালিকায় পাঠাব।’
এজেড/এনইউ/এটি