ছবি : সংগৃহীত

দ্বিতীয় বিভাগ শেষ হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই আবার প্রথম বিভাগ দাবা শুরু করছে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মুজিববর্ষ ওয়ালটন প্রথম বিভাগ দাবা লিগ। এবারের আসরে ১২টি দল অংশগ্রহণ করছে। ১২ দলের মধ্যে শীর্ষ দুই দল প্রিমিয়ারে খেলার সুযোগ পাবে আর সর্বনিম্ন দুই দল দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যাবে। 

প্রথম বিভাগের ১২ দলই প্রিমিয়ারে উঠার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে। তবে এর মধ্যে সুলতানা কামাল স্মৃতি পাঠাগার, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড দাবা দল, রুপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন-রানার্স আপ লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানা গেছে দাবার বিভিন্ন সূত্রে। ২৩ ফেব্রুয়ারি লিগের ড্র অনুষ্ঠিত হবে। সেদিনই মূলত দলগুলোর শক্তিমত্তা প্রকাশ পাবে।

দাবা ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ও লিগ কমিটির সম্পাদক মাসুদুর রহমান মল্লিক (দীপু) বলেন, ‘আমরা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লিগ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত। দলগুলো আমরা লিগের সময়সূচি আগেই জানিয়েছি। সংবাদ সম্মেলন অনেক আগে করার এটিও আরেকটি কারণ, যাতে দলগুলো আরও প্রস্তুত হতে পারে। আশা করি এই লিগ থেকে ভালো মানের দাবাড়ু বেরিয়ে আসবে। ’

প্রথম বিভাগ দাবা আয়োজন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দাবা ফেডারেশনের সহ-সভাপতি কে এম শহিদ উল্ল্যাহ বলেন, ‘আমরা দাবাড়ুদের উৎসাহিত করার জন্য প্রত্যেক বোর্ডের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে দাবাড়ুদের পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছি।’

বোর্ড পুরস্কার ছাড়াও চ্যাম্পিয়ন, রানার্স আপ পুরস্কার তো রয়েছেই। লিগের পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন বলেন,‘ ২০১৪ সাল থেকে আমরা প্রথম বিভাগ দাবার সঙ্গে রয়েছি। আশা করি আগামীতেও থাকব।’

প্রথম বিভাগ দাবায় অংশগ্রহণকারী দলগুলো হলো- মানহাস ক্যাসল চেস ক্লাব, মীর চেস ক্লাব, সুলতানা কামাল স্মৃতি পাঠাগার, ঢাকা নাইটস চেস ক্লাব,খেলাঘর দাবা সংঘ- গোপালগঞ্জ,বসির মেমোরিয়াল চেস ক্লাব,অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড দাবা দল, খেলাঘর দাবা সংঘ, ক্যাসপারভ চেস ক্লাব, ইসফট এরিনা চেস ক্লাব,রুপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ ও মর্নিং গ্লোরী চেস ক্লাব-কুষ্টিয়া। দলগত দাবায় একটি দলে ৬ জন দাবাড়ু থাকেন আর চার জন বোর্ডে খেলেন। 

এজেড/এমএইচ/এটি