আগামীকাল (বুধবার) ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নির্বাচন আয়োজনের সকল প্রস্তুতি নিলেও ব্যাডমিন্টনের কাউন্সিলররা কেউ ভোট দেবেন না বলেই জানা গেছে। ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচন নিয়ে নাটকীয়তা কাটছেই না। এবার নতুন ‘আবদার’ নির্বাচনী তফসিল পুনরায় প্রকাশ। 

এই দাবি জানিয়ে কয়েকদিন আগে কয়েকজন কাউন্সিলর নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিলেন। এই চিঠির কারণ তারা নাকি জানতেন না নির্বাচন প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে। অথচ এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে ৫০টির বেশি। 

৩১ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। দুই পক্ষ করোনা আক্রান্তের চিঠি দিয়ে নির্বাচন স্থগিতের অনুরোধ জানায়। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভোট গ্রহণের তারিখ তিন সপ্তাহ পিছিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি পুনঃনির্ধারণ করে। জানুয়ারির মাঝামাঝি করোনা শনাক্তের হার ছিল ৩০ এর উপর। এখন সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ শতাংশ। এই মুহূর্তে নির্বাচন আয়োজনে কোনো বাধা না থাকলেও কাউন্সিলররা পুনঃতফসিল ঘোষণার ‘অদ্ভূত’ দাবি তুলেছেন।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাদের অবস্থানে অনড়। ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার কবিরুল হাসান বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ব্যালট তৈরিসহ যাবতীয় নির্বাচনী আয়োজন সম্পন্ন করেছি। আগামীকাল সুনির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন কক্ষে অবস্থান করব।’

এনএসসি নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত থাকলেও ব্যাডমিন্টনের নির্বাচনের প্রার্থী ও ভোটাররা কেউ ভোট প্রদানে অংশ নেবেন না বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সূত্রের খবর, মূলত নির্বাচন চাইছে না বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ। একটি প্যানেল করার স্বার্থেই নির্বাচন বয়কট প্রার্থীদের। 

কিন্তু তাদের প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাচনী প্রজ্ঞাপনে ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহার। দুই পক্ষই একাধিক পদে মনোনয়ন নিয়েছিল। তখন সমঝোতা হয়নি। সেই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর এখন এনএসসিকে ‘অন্যায়’ অনুরোধ করছে পুনরায় তফসিল দেয়ার। 

ব্যাডমিন্টন নির্বাচনে দুইটি পক্ষ একটি জেলা ও বিভাগীয় সংগঠক পরিষদ আরেকটি সাবেক তারকা শাটলার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবায়েদুর রহমান রানার প্যানেল। দুই প্যানেলেই নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে ফোরামের প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আমির হোসেন বাহার কোনো মন্তব্য করেননি।

জোবায়েদুর রহমান রানা উদ্ভূত পরিস্থিতি সামগ্রিক ক্রীড়াঙ্গনের জন্য শোভনীয় নয় বলে মনে করেন, ‘এখন পর্যন্ত সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার। বিষয়টি আরো সুন্দরভাবে সমাধান হওয়ার ছিল। কিন্তু দু’একজনের সঠিক সময়ে আন্তরিকতার অভাবে হয়নি।’

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী ঝামেলা এড়াতে তিন প্রার্থীর মধ্যে যে কোন একজনকে বেছে নিয়ে একটি প্যানেল করতে চায় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ। যার প্রেক্ষিতে সবাই নির্বাচন বয়কট করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে চাপ দিয়ে পুনঃতফসিলের দাবি করেছিল। সব পক্ষ এক হয়ে অনেক মন্ত্রী ও প্রভাবশালীদের দিয়ে পুনঃতফসিলের চেষ্টা চালিয়েছিল। 

সকল চাপ উপেক্ষা করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অত্যন্ত দৃঢ় ও সঠিক অবস্থান নিয়েছে। ব্যাডমিন্টনের ২৪ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটিতে চার সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, দুই যুগ্ম-সম্পাদক, এক কোষাধ্যক্ষ ও ১৬ সদস্য পদে নির্বাচন হয় আর সভাপতি সরকার কর্তৃক মনোনীত।  এবারের নির্বাচনে ভোটার ১০৩ জন।

এজেড/এমএইচ