নারীদের টেনিসে এককভাবেই ১৮টি গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী মহাতারকা মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা। গত জানুয়ারিতে তার গলায় ক্যান্সার ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিলেন। এরপরই তিনি নিজেকে চিকিৎসকদের হাতে সপে দেন। ৬৬ বছর বয়সী এই টেনিস তারকা এবার সুসংবাদ জানিয়েছেন, দিয়েছেন ক্যান্সারমুক্ত হওয়ার খবর।

গতকাল (২০ জুন) নিজের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নিজের আনন্দের খবরটি ভাগ করে নিয়েছেন নাভ্রাতিলোভা। সোমবার মেমোরিয়াল স্লোয়ান কেট্টেরিং ক্যানসার সেন্টারে তার বিস্তৃত পরীক্ষা করা হয়েছে। যার ফলাফল পাওয়া গেছে মঙ্গলবার। আর সেই ফলাফল দেখেই ডাক্তাররা তাকে সম্পূর্ণ ক্যানসারমুক্ত বলে ঘোষণা করেছেন।

টুইটারে বিষয়টি জানিয়ে মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা লেখেন, ‘সকল ডাক্তার, নার্স, প্রোটন এবং রেডিয়েশন ম্যাজিশিয়ানদের আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কী যে স্বস্তি বোধ করছি বলে বোঝাতে পারব না।’

এর আগে জানুয়ারি মাসেই ৬৬ বছর বয়সী কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ জানিয়েছিলেন, তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত। তার গলা এবং স্তনে ক্যান্সার ধরা পড়েছে। সেই মাসেই তার চিকিৎসা শুরু হয়ে যায়। যদিও ২০১০ সালেই ডাক্তারি পরিভাষায় তার স্তনে ‘নন-ইনভেসিভ’ ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। সেই সময়েই তিনি লাম্পেকটমি করিয়েছিলেন। এরপর গত বছর নভেম্বরে নাভ্রাতিলোভা খেয়াল করেন, তার ঘাড়ের কাছে ছোট্ট একটা লাম্প অর্থাৎ কুঁজের মতন দেখা দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে জিনিসটিকে বায়োপসি করতে পাঠানো হয়। জানা যায়, তাঁর প্রথম পর্যায়ের গলার ক্যান্সার রয়েছে। শরীর খারাপ নিয়েও কাজ চালিয়ে যান তিনি। মার্চে মায়ামি ওপেনে টেনিস চ্যানেলের হয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। 

ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে সবমিলিয়ে ৫৯টি গ্রান্ড স্ল্যাম জিতেছেন নাভ্রাতিলোভা। এর মধ্যে ১৮টি সিঙ্গেলস বিভাগে গ্রান্ড স্ল্যাম জয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে টেনিসকে তিনি বিদায় জানান।

এএইচএস