এস এম নাজের হোসাইন
ভাইস প্রেসিডেন্ট, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)
বন্যা, বিশ্ববাজার ও ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া—এমন সব রকমারি ছুতোয় একের পর এক বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। কেউ পণ্য কিনছেন আগের চেয়ে কম....
বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হয়নি। কমানো হয়েছে রেয়াতযোগ্য বিনিয়োগের সীমা। দুর্দিনের ভরসায় ও আয়কর কিছু ছাড় পেতে মধ্যবিত্ত সঞ্চয় করে থাকে...
মূল্যস্ফীতির চাপ যেমন সামলানো যাচ্ছে না, তেমনি নিত্যপণ্যের দামেও লাগাম টানা যাচ্ছে না।
গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে সাধারণ মানুষসহ সবস্তরের মানুষের জীবন ও জীবিকা হুমকি....
অনেকে মনে করেন, রমজানে একমাস ব্যবসা করব ১১ মাস বসে থাকব। যার কারণে...
নিত্যণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মূল কাজ হলো, নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করা। কিন্তু তারা দায়িত্ব পালনের চেয়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষাবলম্বন করেন...
গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো শাস্তি বা তিরস্কারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তখন তাদের দেখাদেখি অন্য ব্যবসায়ীরাও মজুতদারি...
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষও সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষিত নিত্যপণ্যের বাজার তদারকির ন্যূনতম কোনো দায়িত্ব পালনে আগ্রহ নেই...
সাম্প্রতিক সময়ে দ্রব্যমূল্যের ‘পাগলা ঘোড়া'র সঙ্গে দৌড়াতে গিয়ে হাঁপাচ্ছেন প্রান্তিক মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও। ফলে টিসিবি পণ্যের চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ। সাশ্রয়ী দামে পণ্য কিনতে মানুষ ছুটছে টিসিবির ট্রাকের পিছু পিছু।
ভোজ্যতেলের বাজারে রীতিমতো চলছে চরম নৈরাজ্য। বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাব অনুসারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভোজ্যতেলের দাম প্রতি লিটারে ৮ টাকা বাড়াল।
গ্রাম ও শহরাঞ্চলের প্রান্তিক ও শ্রমজীবী মানুষ যাতে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে, সেজন্য নিত্যপণ্যের দাম যেমন স্থিতিশীল রাখতে হবে...
অধিকাংশ পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও করোনার লকডাউন পরবর্তীতে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ভোক্তাদের নাভিশ্বাস তৈরি করছে...
বিগত দেড় বছর ধরে চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে বারবার লকডাউনে মানুষের একদিকে আয় কমেছে, অন্যদিকে কর্মহীন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে অধিকাংশ মানুষের জীবনেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে এসেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি সংস্থার বাজার মনিটরিং টিম কাজ করলেও তাতে সুফল আসে না। কারণ সকল মনিটরিং টিমগুলো বাজারের পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ না করে বাজারে যায়। আবার বাজারে প্রবেশের আগে বাজার সমিতি ও চেম্বারগুলোকে অবহিত করে যায়। বাজার সমিতি ব্যবসায়ীদের আগে থেকেই সর্তক করে দেন।