মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা এড়াতে যেসব কাজ করতে পারেন

আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা একটি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এপ্রিল মাসে মোট ২১৮ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত হয়েছে। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার প্রায় ৪০ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেপরোয়া গতি, ট্রাফিক আইন অমান্য, অদক্ষ চালক এবং নিম্নমানের হেলমেট ব্যবহারের মতো কারণগুলোই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। এছাড়া, সড়ক সংস্কারের অভাব, ট্রাফিক আইন প্রয়োগে শিথিলতা এবং চালকদের প্রশিক্ষণের অভাবও দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
দুর্ঘটনা এড়াতে যেসব কাজ করতে পারেন :
মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার করুন : মোটরসাইকেল চালানোর সময় চালক ও যাত্রী উভয়ের জন্যই হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক। অনেক সময় চালক হেলমেট ব্যবহার করলেও পিছনের যাত্রী তা করেন না। একটি ছোট দুর্ঘটনাতেও মাথায় আঘাত প্রাণঘাতী হতে পারে। হেলমেট এমনভাবে পরতে হবে যাতে এটি মাথার সঙ্গে সঠিকভাবে আটকানো থাকে এবং দুর্ঘটনার সময় খুলে না যায়। হেলমেটের গুণগত মান অবশ্যই ভালো হওয়া উচিত।

আরও পড়ুন
ট্রাফিক আইন মেনে চলুন : বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণই হলো ট্রাফিক আইন না মানা। সিগন্যাল অমান্য করা, রং সাইড দিয়ে চলা, হঠাৎ করে রাস্তা পার হওয়া কিংবা ইউ-টার্ন নেওয়া ইত্যাদি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি চালকেরই উচিত ট্রাফিক সিগন্যাল, রাস্তার চিহ্ন এবং অন্যান্য নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলা।
গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা অপরিহার্য : তরুণ চালকদের মধ্যে অতিরিক্ত গতি ও ‘রেসিং’ করার প্রবণতা দেখা যায়, যা মারাত্মক বিপদজনক। অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হয়। এমনকি দক্ষ চালকও হঠাৎ বিপদের মুখে পড়লে সামাল দিতে পারেন না। তাই সর্বদা নিরাপদ গতি বজায় রাখা উচিত।
মোবাইল ফোন ও হেডফোন ব্যবহার করবেন না : চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা কিংবা গান শোনার জন্য হেডফোন ব্যবহার চালকের মনোযোগ নষ্ট করে। সেকেন্ডের একটি ভুল সিদ্ধান্তই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তাই চালানোর সময় সম্পূর্ণ মনোযোগ রাস্তায় রাখতে হবে।
ওভারটেক করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন : অনেক চালক রাস্তার নিয়ম না মেনে হঠাৎ ওভারটেক করার চেষ্টা করেন, যা বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটাতে পারে। ওভারটেক করার সময় অবশ্যই সিগন্যাল দেওয়া উচিত এবং নিশ্চিত হতে হবে যে পথটি ফাঁকা ও নিরাপদ।
অনেক তরুণ বয়সেই লাইসেন্স না নিয়ে মোটরসাইকেল চালানো শুরু করে। এটি একদিকে যেমন আইনগতভাবে অপরাধ, তেমনি বিপজ্জনকও। মোটরসাইকেল চালানোর পূর্বে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা এবং বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করা একান্ত প্রয়োজন।
এমবি/এমআইকে