দেশে তৈরি মিতসুবিশি ‘এক্সপ্যান্ডার’ গাড়ির ৪টি মডেল বাজারে

দেশে তৈরি জাপানের মিতসুবিশি ব্র্যান্ডের ‘এক্সপ্যান্ডার’ মডেলের নতুন গাড়ি বাজারে এনেছে র্যানকন মোটরস। দেশে তৈরি এই সিরিজের চার ধরনের গাড়ি বাজারে আনা হয়েছে। এই গাড়িগুলো প্রথমবারের মতো বাংলাদেশেই উৎপাদিত হয়েছে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মিতসুবিশির ‘এক্সপ্যান্ডার’ মডেলের চার ধরনের গাড়ির আনুষ্ঠানিক বাজারজাতকরণের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনচি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন র্যানকন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোমো রউফ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারহানা করিম ও মিতসুবিশি মোটরস করপোরেশনের বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক (ডিভিশন জেনারেল ম্যানেজার) ইউতাকা ইয়ানো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় মিতসুবিশি মোটরস করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাকাও কাতো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে এটি আমাদের সুন্দর পথচলার সূচনা। এক্সপ্যান্ডার ব্র্যান্ডের গাড়িটি মূলত আসিয়ান অঞ্চলের জন্য নির্মিত। পারিবারিক গাড়ি হিসেবে বাংলাদেশে এই গাড়ির বেশ চাহিদা রয়েছে। র্যানকনের সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্ব ভবিষ্যতে আরও উন্নত ও নির্ভরযোগ্য গাড়ি তৈরির পথ সুগম করবে।
মিতসুবিশি মোটরস করপোরেশনের বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক ইউতাকা ইয়ানো বলেন, বাংলাদেশে আমাদের উৎপাদনকেন্দ্রে বিশ্বমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। তাই আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে বাংলাদেশ এখন মিতসুবিশি মোটরসের মানসম্পন্ন গাড়ি তৈরি করতে প্রস্তুত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে র্যানকন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোমো রউফ চৌধুরী বলেন, র্যানকন গ্রুপ দেশে ইলেকট্রনিকস, মোটরবাইক ও অটোমোবাইক—এই তিনটি খাতে উৎপাদনে মনোযোগ দিয়েছে। দেশের ক্রেতাদের জন্য আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের পণ্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করে সাশ্রয়ী দামে পৌঁছে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য।
তিনি আরও আরও বলেন, কারখানায় নতুন বিনিয়োগের ফলে আমাদের বিভিন্ন কারখানায় দেড় হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। স্থানীয় উৎপাদন ও মূল্য সংযোজন এবং সরকারের নীতিসহায়তার ফলে আমরা এই মডেলের গাড়ির দাম প্রায় ১১ লাখ টাকা পর্যন্ত কমাতে পেরেছি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি বলেন, এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে, যখন বাংলাদেশ সরকার দেশের অটোমোবাইল শিল্পকে এগিয়ে নিতে অনুরোধ করেছিল। বাংলাদেশ সরকার যখন আমদানি করা গাড়ির ওপর কাস্টমস শুল্ক কমিয়ে দেয়, তখন মিতসুবিশি ও র্যানকন দেশে গাড়ি উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ এখন এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে রয়েছে। তাই শিল্প খাতের বৈচিত্র্য আনয়ন এখন জরুরি। দেশে গাড়ি উৎপাদন সেই উদ্দেশ্য পূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মিতসুবিশি মোটরসের পণ্যদূত ও অভিনেতা সিয়াম আহমেদ।
এমএন