চীনে বিধ্বস্তের পর ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ বিমানের বোয়িং
চীনে ১৩২ আরোহী নিয়ে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাদের এ মডেলের এয়ারক্র্যাফটগুলোকে ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ রেখেছে।
বিমান জানায়, বর্তমানে তাদের বহরে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ছয়টি এয়ারক্র্যাফট রয়েছে। তারা সেগুলোর যন্ত্রাংশ ও অপারেশন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে।
তবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি ও সিইও আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সঙ্গে এবং বিমানের জনসংযোগ বিভাগে কথা বলা হলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইতোমধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও বিমানের এমডি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্র্যাফটগুলোকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। যেকোনো প্লেনের জন্য ফ্লাইট সেফটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শতভাগ সেফটি নিশ্চিত করতে বিষয়গুলো আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
বর্তমানে বিমানের বহরে বর্তমানে ২১টি এয়ারক্র্যাফট রয়েছে। এর মধ্যে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআরএস চারটি, বোয়িং ৭৮৭-৮এস চারটি, বোয়িং ৭৮৭-৯এস দুটি, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ছয়টি ও ডিএইচসি-৮ কিউ ৪০০ মডেলের পাঁচটি।
এদিকে চীনের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনার পর এ মডেলের প্লেনের ওপর ‘বাড়তি নজরদারি’ রেখেছে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব এভিয়েশন (ডিজিসিএ)।
এ বিষয়ে ডিজিসিএ প্রধান অরুণ কুমার বলেছেন, ভারতে যেসব সংস্থা যাত্রী পরিবহনে এ মডেলের উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে, সেগুলোতে বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে। স্পাইস জেট, ভিস্তারা ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের উড়োজাহাজের বহরে এ ধরনের এয়ারক্র্যাফট রয়েছে।
২১ মার্চ চীনের বেসরকারি উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন ১৩২ জন আরোহী নিয়ে দেশটির গুয়াংশি প্রদেশে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই উড়োজাহাজটিতে ধরে যাওয়া আগুন পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আরোহীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো বার্তা না এলেও, ধারণা করা হচ্ছে কেউই আর বেঁচে নেই।
এআর/আরএইচ