হজ শেষে মালদ্বীপ যাবে বিমান
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ (১ জুন) থেকে ঢাকা-মালে ফ্লাইট পরিচালনার কথা ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের। কিন্তু ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিমান লিজ না নেওয়া এবং আসন্ন হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সেটি সম্ভব হয়নি। তবে, কর্তৃপক্ষ বলছে হজের যাত্রী আনা নেওয়া শেষে মালদ্বীপে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশি পতাকাবাহী এই বিমান সংস্থাটি।
বুধবার (১ জুন) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান এয়ারলাইন্সেট ট্রেনিং সেন্টার অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।
মোস্তফা কামাল বলেন, এ মৌসুমে আজকে থেকে মালেতে আমাদের ফ্লাইট পরিচালনা করার কথা ছিল। কিন্তু আজকে থেকে যাচ্ছে না। কারণ, আমরা কোনো বিমান হজের জন্য লিজ নিচ্ছি না। নিজস্ব ফ্লাইট দিয়ে আমরা হজ যাত্রী নিয়ে যাব। যদি আজকে থেকে মালেতে একটি ফ্লাইট যেত এবং আগামী ৫ তারিখ থেকে হজ যাত্রী আনা নেওয়া করা হতো। যেটা ব্যবসায়িকভাবে সফল না। আবার আজকে থেকে যে ফ্লাইট মালে যাবে, সেটি ফিরে এসে চুপ থাকবে। এটাও আমাদের ব্যবসায়িক পলিসি না। সেজন্য মালেতে আমরা হজ সম্পন্ন করেই যাবো। আমাদের সবকিছু রেডি আছে। এরপর আমরা চেন্নাই, বাহরাইনের রুটের বিষয়গুলো ভাবছি।
আগামী ২৮ জুন টরন্টো ফ্লাইটের বিষয়ে বিমানের এ এমডি বলেন, ঢাকা-টরন্টো গন্তব্যে প্রথম ফ্লাইট ২৮ জুন পরিচালনা করা হবে। তবে বিলিং অ্যান্ড সেটলমেন্ট প্ল্যানিং (এজেন্সি) হয়নি বলে এ গন্তব্যের টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে না। এই গন্তব্যের জন্য বিজনেস লাইসেন্স এখনো পাওয়া যায়নি।
তিনি প্রথমে বলেন, বিমান ২৮ জুনেই যাবে। যদি সময় একটু বেশি লাগে তাহলে তারিখটা হয়তো একটু পেছাবে। টিকিট বিক্রি এখনো শুরু হয়নি। টিকিট ছাড়তে পারছি না কারণ, বিলিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্ল্যানিংয়ের সঙ্গে ট্রাভেল এজেন্সির একটা সম্পর্ক আছে। এ সমন্বয়ের জন্য যে বিজনেস লাইসেন্স লাগে সেটি এখনো পাইনি। এসব না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। কেবল ওয়েব সাইটের টিকিট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা সম্ভব না।
স্বর্ণ চোরাচালান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এয়ারলাইন্সের অপারেটরেরা কম-বেশি জড়িত আছে স্বর্ণ চোরাকারবারে। এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে বিবেচ্য বিষয় আগে বড় বড় চালান ধরা পড়ত, এখন দেখা যাচ্ছে ছয়-সাতটায় ধরা পড়ছে সেই পরিমাণ। আগে কেউ স্বর্ণ আমদানি করে নিয়ে আসত না। সরকার স্বর্ণ নীতিমালা করে দেওয়ার পর থেকে এখন বিরাট লাইন দেখা যায় কাস্টমসে। তারপরও সোনার চোরাচালান আসছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে স্বর্ণ চোরাচালানকে যতটা পারা যায় শূন্যের দিকে নিয়ে যাওয়া। সিসি ক্যামেরার এরিয়া বাড়িয়ে দিয়েছি, বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে যাতে দেখা যায়। এখানে বেবিচকসহ বিভিন্ন এজেন্সি আছে তারা মনিটর করছে। আমরা নতুন কিছু যন্ত্রপাতি যুক্ত করার চেষ্টা করছি। অবকাঠামোগত কিছু বিষয় চিহ্নিত করছি। তা পরিবর্তনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সভায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চিফ অফ ফ্লাইট সেফটি ক্যাপ্টেন এনামুল হক তালুকদার, পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন্স) ক্যাপ্টেন সিদ্দিকুর রহমান, বিএফসিসির মহাব্যবস্থাপক শামসুল করিম, গ্রাহক সেবার পরিচালক মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ যাহিদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের এয়ার কমোডর মৃধা মো. একরামুজ্জামান।
এমএইচএন/এসএম