প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
‘নিজের লাভ হবে, তাই বিমানকে লোকসানে ফেললেন কর্মকর্তা’, ঢাকা পোস্টে ২৬ জানুয়ারি প্রকাশিত সংবাদটির প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (রেভিনিউ ও এফএমআইএস) মো. মিজানুর রশীদ।
এ বিষয়ে রোববার প্রতিবেদককে তিনি একটি প্রতিবাদ লিপি পাঠান। এতে তিনি বলেন, ‘যে তথ্য-ছাপা হয়েছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন, মানহানিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
বিমানের জন্য কেনা দুটি সফটওয়্যারের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে সফটওয়্যার দুটির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তৎকালীন বোর্ড সাব-কমিটির নির্দেশনাক্রমে বিমানে প্রচলিত ক্রয়নীতি অনুসরণ করে, আইন বিভাগের সুপারিশক্রমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে ক্রয় করা হয় এবং তা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়। সফটওয়্যার বাস্তবায়িত হওয়ার ফলে ম্যানেজমেন্ট দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারায় বিমান সক্ষমতা লাভ করে। এর উপকারিতা বিবেচনা করে ২০২২ সালে আরও এক বছর বিমান ম্যানেজমেন্ট লিগ্যাল ডিপার্টমেন্টের মতামত গ্রহণ করে চুক্তির মেয়াদ বর্ধিত করে। উপযোগিতার তুলনায় এর খরচ নামমাত্র। বিগত পাঁচ বছরে সফটওয়্যার কোম্পানিকে প্রতি মাসে ইউজেজ বেসিসে (ব্যবহারের ভিত্তিতে) চার থেকে পাঁচ হাজার ডলার দেয়া হয়। সফটওয়্যারটির ফলে বিমান যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছে এবং হাজার কোটি টাকার সুফল ভোগ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনে ‘২০১০ সালে ক্রীড়া সমাগ্রী ক্রয়ে মনগড়া ভাউচার আত্মসাৎ’ বিষয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। এটি আমার বিরুদ্ধে মারাত্মক ষড়যন্ত্র এবং এর মাধ্যমে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।'
প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রতিবেদনে সফটওয়্যার কেনা ও ক্রয়নীতি লঙ্ঘনের যে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে তা প্রতিবেদকের নিজস্ব অনুসন্ধান নয়। প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের কোন নিজস্ব বক্তব্যও নেই।
এ বিষয়ে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জিএম মিজানুর রশীদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। নোটিশে ক্রয়নীতি লঙ্ঘন, প্রটোকল অনুযায়ী আইটি বিভাগের মতামত না নেওয়া, অসত্য, মিথ্যা, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিমানের প্রশাসনকে 'ভুল পথে নেওয়া ও আর্থিক ক্ষতির মুখে ঠেলে দেওয়ার কথা উল্লেখ আছে।
কারণ দর্শানোর নোটিশটি পাঠান বিমানের পরিচালক-প্রশাসন মো. ছিদ্দিকুর রহমান।
নোটিশের উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গত ১৭ জানুয়ারি বিভাগীয় মামলা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
মামলার অভিযোগপত্রে, সফটওয়্যার কেনার পেছনে জিএমের 'অসৎ উদ্দেশ্য', বিভিন্ন তথ্য গোপন করে 'ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যের' কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তার বিষয়ে জারি করা কারণ দর্শানোর নোটিশ, নোটিশের জবাব ও বিভাগীয় মামলার কপি ঢাকা পোস্টের হাতে রয়েছে।
এআর/এসকেডি/জেএস