ঐতিহ্যবাহী খাবারের উৎসব শুরু বৃহস্পতিবার, দাওয়াত পেয়েছেন বিদেশিরা
দেশের ৩৯টি নামি-দামি রেস্টুরেন্ট ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের আইটেম নিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ মে) শুরু হচ্ছে মুজিব’স বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল ‘টেস্ট অব বাংলাদেশ’। এই ফুড ফেস্টিভ্যালে বিদেশি কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বুধবার (৩ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বনানীর মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক পার্কে শুরু হবে এই ফেস্টিভ্যাল, যা চলবে ৬ মে পর্যন্ত। বিকেল ৫টায় এর উদ্বোধন করবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। এই আয়োজনে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি দূতাবাস, মিশন ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে এই প্রথমবার এমন একটি উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে যেখানে একই স্থানে হাল আমলের চেইন হোটেলের মুখরোচক বাঙালি খাবারের পাশাপাশি অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যাবে। অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী খাবার যেমন— খুলনার বিখ্যাত চুই ঝালের মাংস, চট্টগ্রামের মেজবান, ঢাকার বিখ্যাত হাজী বিরিয়ানি, বিউটি লাচ্ছি, বাকরখানী, নান্না বিরিয়ানি, বিসমিল্লাহর চাপ, মোহাম্মদপুরের মোস্তাকিমের চাপ, বোবার বিরিয়ানি, বরিশালের গুটিয়ার সন্দেশ, বগুড়ার দই, কুমিল্লার মাতৃভাণ্ডারের রসমালাই ও নাটোরের কাঁচাগোল্লা পাওয়া যাবে।
এছাড়া বাগেরহাটের চিংড়ি, সুন্দরবনের মধু, যশোরের জামতলার সাদেক গোল্লা, মৌলভীবাজারের মনিপুরী খাবার, কক্সবাজারের সি ফুড, খাগড়াছড়ির বিখ্যাত ব্যাম্বো চিকেন, বান্দরবানের মারমা ফুড, উত্তর বঙ্গের প্যালকা, পিরোজপুরের সন্ধ্যা নদীর ইলিশ, সিলেটের পানসী রেস্টুরেন্টের আখনী বিরিয়ানি, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মন্ডা, শেরপুরের তুলসিমালা চালের পায়েস, হরেক রকমের জুস, ফুসকা ও আগুনপানসহ অন্যান্য খাবারের পসরা সাজানো থাকবে।
পাশাপাশি এ আয়োজনে বাংলাদেশের বিখ্যাত চেইন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, শেরাটন, হোটেল ওয়েস্টিন ও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন তাদের বিখ্যাত বাংলাদেশি খাবার উপস্থাপন করবে। ৪৩টি স্টলের মাধ্যমে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান এসব খাবার উপস্থাপন ও বিক্রি করবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও-অতিরিক্ত সচিব) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পর্যটন) মনোজ কুমার রায়।
দেশকে পর্যটনবান্ধব করতে তৈরি করা হচ্ছে মাস্টার প্ল্যান। কবে নাগাদ এসব মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ শেষ হবে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও-অতিরিক্ত সচিব) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, আমরা ট্যুরিজম মাস্টার প্ল্যান তৈরি করছি। এ বছরের মে মাসের মধ্যেই তা সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। মাস্টার প্ল্যান চূড়ান্ত করার পাশাপাশি আমরা আগামী অর্থবছরে পাঁচটি প্ল্যান বাস্তবায়নেরও পরিকল্পনা করেছি। আমরা চাই সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসুক।
এআর/কেএ