জেট ফুয়েলের দাম ৯৯ টাকা নির্ধারণ
অভ্যন্তরীণ গন্তব্যের জন্য উড়োজাহাজের জ্বালানি জেট ফুয়েলের দাম প্রতি লিটার ৯৯ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।
বুধবার (১৩ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে লিটার প্রতি জেট ফুয়েলের দাম ছিল ১২৫ টাকা, অক্টোবরে এসে তা ৫ টাকা বেড়ে হয় ১৩০ টাকা, নভেম্বরে তা আরও ৫ টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা, ডিসেম্বরে আরও কমে হয় ১২১ টাকা। এরপর জানুয়ারিতে দাম আরও কিছুটা কমিয়ে ১১২ টাকা করা হয়েছিল।
এদিকে ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর উড়োজাহাজের জ্বালানি জেট ফুয়েলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা এবং আন্তর্জাতিক গন্তব্যের জন্য প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম ৯ সেন্ট কমিয়ে ১ ডলার করে বিপিসি। এ অবস্থায় গত ৬ নভেম্বর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের কাছে চিঠি দেয় এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি)।
চিঠিতে তারা দাবি করে, দেশে পদ্মা অয়েল জেট ফুয়েলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে অনেক বেশি রাখছে। এ কারণে এভিয়েশন খাত অস্তিত্বের সংকটে। এই যুক্তি দেখিয়ে পদ্মা অয়েলের মনোপলি ব্যবসার বিকল্প হিসেবে তারা তিনটি প্রস্তাব দেয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়কে। তাদের প্রস্তাব তিনটি ছিল- দেশীয় প্রাইভেট সেক্টর এয়ারলাইন্সের এবং হেলিকপ্টার অপারেটরদের জন্য সরাসরি পারটেক্স পেট্রোলিয়াম থেকে জ্বালানি কেনার অনুমোদন। প্রয়োজনে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বিদেশ থেকে জেট ফুয়েল আমদানির অনুমোদন প্রদান এবং অভ্যন্তরীণ জ্বালানি মূল্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জ্বালানির মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করা।
এই অবস্থায় তাদের দাবি বিবেচনা করে নতুন করে জেট ফুয়েলের দাম সমন্বয় করেছে বিপিসি।
প্রসঙ্গত, দুই বছর আগে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জ্বালানি জেট ফুয়েল প্রতি লিটারের দাম ছিল মাত্র ৪৬ টাকা। কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ক্রমাগত ফুয়েলের দাম লিটারপ্রতি ১৩০ টাকায় পৌঁছায়, যার বৃদ্ধির পরিমাণ ১২৭ শতাংশ।
ওএফএ/এমজে