প্লেনে শিশু ওঠার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিল বেবিচক
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাসপোর্ট-বোর্ডিং পাস ছাড়াই কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে শিশু ওঠে যাওয়ার ৪০ ঘণ্টা পর বিষয়টি নিয়ে সংবাদ বিবৃতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। সংস্থাটি জানায়, গ্রুপ যাত্রীদের সঙ্গে মিশে কর্তব্যরত সদস্যদের নজর এড়িয়ে ছেলেটি এয়ার ক্রাফটের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ ঘটনা অপ্রত্যাশিত, অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক বলেও জানায় বেবিচক।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেবিচকের উপ-পরিচালক (পার্সোনেল) ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মাদ সোহেল কামরুজ্জামান এ বিবৃতি দেন।
সোহেল কামরুজ্জামান বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়েত এয়ার ওয়েজের কেইউ-২৮৪ ফ্লাইটে আনুমানিক ১২ বছরের একটি ছেলে (জুনাইদ) এয়ার ক্রাফটে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে তাকে এয়ারলাইন্স কর্তৃক বিমানবন্দর নিরাপত্তা বিভাগে হস্তান্তর করা হয়। প্রাথমিকভাবে ছেলেটিকে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে মনে হয়। সে অসত্য তথ্য প্রদান করে। বয়স কম হওয়ার কারণে বিমানবন্দরে চলাচলকারী গ্রুপ প্যাসেঞ্জারদের (যাত্রী) সঙ্গে মিশে গিয়ে কর্তব্যরত সদস্যদের নজর এড়িয়ে ছেলেটি এয়ার ক্রাফটের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ ঘটনা অপ্রত্যাশিত, অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক।
আরও পড়ুন: আগেও চারবার বিমানবন্দরে গিয়ে প্লেনে ওঠার চেষ্টা করে শিশুটি
বিবৃতিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত বিভিন্ন সংস্থার ১০(দশ) জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার দায়-দায়িত্ব নির্ধারণের জন্য পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে কুয়েত এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে আনুমানিক ৮-১০ বছরের একটি ছেলে শিশু ইমিগ্রেশন, পাসপোর্ট ও বোর্ডিং পাস ছাড়াই প্লেনে ওঠে যায়। বিমানবন্দরে ঢুকে ইমিগ্রেশনসহ প্রায় ৮-১০টি ধাপ পেরিয়ে প্লেনে চড়তে হয়। কোনো ধাপেও শিশুটিকে না আটকানোর বিষয়টি নিরাপত্তাহীনতা বলে মন্তব্য করেছেন অনেক যাত্রী। এ ঘটনায় বিমানবন্দরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন উঠে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।
আরও পড়ুন: আগে সবাইকে সাসপেন্ড, পরে তদন্ত : বেবিচক চেয়ারম্যান
এদিকে বুধবার বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিশুটি বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার বরইহাটি গ্রামের বাঁশবাড়িয়ায়। তার বাবার নাম ইমরান মোল্লা ও মা জেসমিন আক্তার। বুধবার ভোরে তাকে বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করেছে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। পাশাপাশি শিশুটির বাবা-মাকে ভবিষ্যতে শিশুর বিষয়ে আরও যত্নশীল হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এআর/এমএসএ