প্রবাসীদের জন্য ৫ দেশের বিশেষ ফ্লাইট চলবে
করোনার লাগাম টেনে ধরতে দেশে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট চলাচলও আরও এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
১৪ থেকে ২১ এপ্রিলের মতো এর পরের সাত দিন (২১ থেকে ২৮ এপ্রিল) কোনো শিডিউল ফ্লাইট চলাচল করবে না। তবে প্রবাসীদের জন্য যেই পাঁচটি রুটে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো চলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সেই রুটগুলো হলো- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, কাতার ও ওমান।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ফ্লাইট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে লকডাউনের এই সময়ে অনুমতি নিয়ে কার্গো প্লেন, স্পেশাল/চার্টার্ড ফ্লাইট, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারবে। এছাড়া প্রবাসীদের আনা-নেওয়ার জন্য সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, কাতার ও ওমানের বিশেষ ফ্লাইটগুলো আগের মতোই চলবে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, পাশাপাশি এই পাঁচটি দেশের ট্রানজিট যাত্রীদেরও চলাচলে অনুমতি দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। তবে এই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
এর আগে সোমবার বিকেলে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বেবিচক। বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড এবং রেগুলেশন্স বিভাগের সদস্য গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী এম জিয়া উল কবির স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ২০ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা ১ মিনিট (২১ এপ্রিল) থেকে ২৮ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে।
গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইটও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে প্রবাসীদের আসা-যাওয়ার কথা বিবেচনায় নিয়ে খুলে দেওয়া হয় পাঁচ রুটের ফ্লাইট চলাচল।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বেবিচক। এরপর এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে সে বছরের ১৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে, ১৬ মে ও ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। গত বছরের ১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধিসহ বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ দিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরে ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়।
এআর/এফআর