সরব হলো বিমানবন্দর, ১৬ দিন পর অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল শুরু
১৬ দিন পর বুধবার সকাল থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বেবিচক সীমিত পরিসরে বুধবার (২১ এপ্রিল) থেকে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয়। অনুমতি পাওয়ার পরপরই ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং নভোএয়ার।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, সকাল থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সৈয়দপুর ও যশোর রুটে একটি করে ফ্লাইট গেছে। এছাড়াও দিনব্যাপী অন্যান্য এয়ারলাইন্সেরও ফ্লাইট পরিচালনার কথা রয়েছে।গতকাল বিকেলেই ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত হওয়ায় যাত্রী সংখ্যা এখনও কিছুটা কম। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ফ্লাইটগুলোর যাত্রী বাড়ছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক-জনসংযোগ (জিএম-পিআর) কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনাকালীন একটি অনিশ্চয়তা থেকে আমরা ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ পেয়েছি। সকালে ফ্লাইটে যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। তবে ইতোমধ্যে বিকেলের ফ্লাইটগুলোর অনেক টিকেট বিক্রি হয়েছে।
তবে কোনো এয়ারলাইনই কক্সবাজার ও রাজশাহী রুটে ফ্লাইট ঘোষণা করেনি।
গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ছিল। বেবিচক জানায়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যাওয়া প্রবাসীরা লকডাউনের কারণে সড়কপথে বাড়ি ফিরতে পারে না। তাই তাদের জন্যেই প্রধানত ফ্লাইট চালু করা হয়েছে।
১৪ এপ্রিল থেকে আরও কঠোর বিধিনিষেধের কারণে আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইটও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সিঙ্গাপুরে বিশেষ ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বেবিচক। এরপর এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে সে বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর ১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধিসহ বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ দিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরে ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতিও দেওয়া হয়।
এআর/এনএফ