বিমানবন্দরে পজিটিভ সিকিউরিটি কালচার গড়ে তোলার আহ্বান

বাংলাদেশের বিমান চলাচল খাতকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে আরও শক্ত অবস্থানে নিতে বিমানবন্দরগুলোতে পজিটিভ সিকিউরিটি কালচার বা ইতিবাচক নিরাপত্তা সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সিভিল এভিয়েশন একাডেমিতে আয়োজিত ‘সিকিউরিটি কালচার ইন এভিয়েশন’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় এ আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভিল এভিয়েশন একাডেমির পরিচালক প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন, বিমান চলাচলে নিরাপত্তা সংস্কৃতি গড়ে তোলা মানে এমন মানসিকতা তৈরি করা, যেখানে প্রত্যেকে নিজের অবস্থান থেকে নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।
আরও পড়ুন
কর্মশালায় এভিয়েশন সিকিউরিটি কালচারের গুরুত্ব, দৈনন্দিন কার্যক্রমে নিরাপত্তা সংস্কৃতি যুক্ত করার কৌশল, বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা ও কর্মীদের ভূমিকা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য প্রতিবেদন ও প্রতিক্রিয়া প্রদানের পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বেবিচক ও বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও কার্যকর কৌশল শেয়ার করেন। তারা বলেন, বিমানের নিরাপত্তা শুধুমাত্র নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নয় বরং বিমানবন্দরে কর্মরত প্রত্যেকের সম্মিলিত দায়িত্ব।
সমাপনী অধিবেশনে অংশগ্রহণকারীরা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংস্কৃতি জোরদারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং ‘নিরাপত্তা সবার আগে’ এই মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশের বিমান চলাচল খাতকে আরও নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত করার অঙ্গীকার করেন।
টিআই/এমজে