‘সাহায্যের কথা’ শুনে দ্রুত নাগপুর যেতে বলে কলকাতা
মাস্কাট থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২২ ফ্লাইটটি তখন ভারতের ছত্তিসগড়ের রায়পুরের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল। প্লেনটি যখন ৩৭ হাজার ফুট উপরে, তখন হঠাৎ ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের বুকে ব্যথা ওঠে। দ্রুত ফার্স্ট অফিসারকে বিষয়টি জানান তিনি।
তখনই বিমানের দায়িত্বরত ফার্স্ট অফিসার সাহায্যের জন্য ভারতের কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাৎক্ষণিক কলকাতা এটিসি বিমানের ফ্লাইটটি অবতরণের জন্য নাগপুর বিমানবন্দরকে প্রস্তুত করে।
ভারতের সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র অফিসারদের বরাত দিয়ে টাইমস অব ওমান জানায়, বিজি-২২ ফ্লাইটের ফার্স্ট অফিসার কলকাতা এটিসিকে মেডিকেল ইমার্জেন্সির কথা জানায় এবং দ্রুত অবতরণের ব্যবস্থা করতে বলে। তখন কলকাতা এটিসি বিমানকে জানায়, সবচেয়ে কাছাকাছি (প্রায় ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে) রয়েছে নাগপুর বিমানবন্দর। সেখানে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ বার্তা দেওয়ার পর নাগপুরের এটিসিকে সব ধরনের জরুরি প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেয় কলকাতা। একটি আনশিডিউলড ফ্লাইট নামছে বলে বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনকে অবগত করে। পাশাপাশি বিজি-২২-কে নাগপুরের দিকে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়।
ফ্লাইটটি তৎক্ষণাৎ ঘুরে নাগপুরের দিকে আসতে থাকে। ৩৭ হাজার ফুট থেকে নিচে নামা শুরু করে। কলকাতা টাওয়ারের নির্দেশনা পেয়েই মেডিকেল টিম, অ্যাম্বুলেন্স ও সব ধরনের জরুরি সরঞ্জামের ব্যবস্থা করে নাগপুরের বিমানবন্দর।
ফ্রি রাখা হয় রানওয়ে ৩২-কে। অবশেষে ৪০ মিনিট পর ফ্লাইটটি নাগপুরের ড. বাবাসাহেব এম্বেরকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাপ্টেনকে বের করে নেওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে।
এর আগে, স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৬টায় বিমানের ফ্লাইটটি ওমানের মাস্কাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পাইলটের হার্ট অ্যাটাকের কারণে ফ্লাইটিকে নাগপুরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। পরে পাইলটকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের দেশে ফেরাতে একইদিন সন্ধ্যায় নাগপুরে ফ্লাইট পাঠায় বিমান। রাত পৌনে একটার দিকে ১২৪ যাত্রীকে দেশে ফেরত আনা হয়।
এআর/আরএইচ