বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ল পথশিশুদের মাঝেও

আজকের শিশুই আগামী দিনের সক্ষম নাগরিক। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দরদ ছিল অপরিসীম। শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন তিনি। তার জন্মদিনে তিনি শিশুদের সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করতেন। ওইদিন শিশুরা দলবেঁধে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে যেত। এসব সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ১৯৯৬ সাল থেকে তার জন্মদিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
বাঙালির অবারিত সাহস, স্বপ্ন, স্পর্ধার উৎস জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে পথশিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গেটে অবস্থিত উন্মুক্ত লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মো. আক্তারুজ্জামান সিনবাদ ও প্রাচ্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমন কুমার বৈদ্য।
এ প্রতিযোগিতার আয়োজক ছাত্রলীগের সমাজসেবা বিষয়ক উপ-সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান ওরফে খোকা শুধু একটি নাম নয়। এটি একটি ইতিহাস, একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামী চেতনা। শেখ মুজিবের জীবন ও রাজনীতি, একটি ভৌগোলিক সীমারেখায় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বেঁচে থাকলে আজ ১০২ বছর পূর্ণ হত বাংলাদেশের জাতির পিতার। জীবনভর দেশমাতৃকার জন্য লড়াই-সংগ্রাম করলেও বঙ্গবন্ধুর ছিল একটি কোমল মন। শিশুদের প্রতি তার দরদ ছিল অপরিসীম।’
সৈকত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার জন্মদিন পালন করতেন না। শিশুদের যেহেতু তিনি ভীষণ স্নেহ করতেন তাই জন্মদিন শিশুদের সঙ্গে কাটাতেই পছন্দ করতেন তিনি। তার জীবদ্দশায় জন্মদিনে শিশুরা দলবেঁধে তাকে শুভেচ্ছা জানাত।’
এ প্রতিযোগিতায় ৪২ জন পথশিশু অংশগ্রহণ করে। শুরুতেই প্রত্যেককে ছবি আঁকার প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জাম উপহার দেওয়া হয়। ছবি আঁকা শেষে সবার মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয়। বিচারকদের রায়ে নির্বাচিত সবচেয়ে সুন্দর ৫টি চিত্রকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।
এইচআর/আইএসএইচ