চুয়েটে মারামারির ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শুক্রবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জরুরি অনলাইন সভায় এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনলাইন সভায় ডিন, পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, সেন্টার চেয়ারম্যান এবং হল প্রভোস্টরা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংগঠিত অপ্রীতিকর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে ঘটনার কারণ উদঘাটন, দায়ীদের চিহ্নিত করা ও দোষের পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে চুয়েট শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধরকে। সদস্যরা হলেন— শামসেন নাহার খান হলের সহকারী প্রভোস্ট ড. মো. মামুনুর রশীদ ও ড. কুদরত-ই-খুদা হলের সহকারী প্রভোস্ট ড. সম্পদ ঘোষ। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে চুয়েটের উপ-পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) ড. মো. সাইফুল ইসলামকে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে রাকিব উদ্দীন চৌধুরী নামে এক ছাত্র আহত হয়। আহত রাকিব উদ্দিন চুয়েটের সিভিল ডিপার্টমেন্টের ছাত্র। তিনি চুয়েট ছাত্রলীগের উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ শাখার উপ-পরিচালক এটিএম শাহজাহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই দল ছাত্রের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাকিব উদ্দিন নামে একজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি মাথায় আঘাত পান। তাদের অভিযোগ আমরা নিয়েছি।
তিনি বলেন, আগের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে রাকিবরা মুন্না নামে একজনকে মারধর করে। এরই জেরে রাতে শেখ রাসেল হলে রাকিবকে মারধর করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের রাউজানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রথম দফা মারামারিতে জড়ান। এর জের ধরে বিকেল ৩টার দিকে ক্যাম্পাসে শেখ রাসেল হলের ক্যান্টিনে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে রাতে শেখ রাসেল হলের রাকিবের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
কেএম/এসএসএইচ