বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তিতে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে আলোচনা

Dhaka Post Desk

ঢাকা পোস্ট ডেস্ক

২৪ মার্চ ২০২২, ১১:৩১ এএম


বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তিতে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে আলোচনা

কানাডা-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘কানাডা-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ, এ জার্নি অব ফিফটি ইয়ার্স’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকলস।

এতে সভাপতিত্ব করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— আব্দুল মোনেম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. এস. এম. মঈনউদ্দীন মোনেম, পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক রিয়াজ খান, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের জ্যৈষ্ঠ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হকসহ সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকমণ্ডলী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সালমান এফ রহমান বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণেই বাংলাদেশ আজ এতদূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের সেরা তিনটি সফলতার পরিমাপক হল— কৃষিতে সাফল্য, শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং ডিজিটালাইজেশন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি মহিবুল হাসান চৌধুরী তার বক্তব্যে ভোকেশনাল ট্রেনিং এবং ব্যবহারিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একের অধিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করে নিজেদের প্রতিযোগিতাময় চাকরির ক্ষেত্রের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের তাগিদ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকলস বলেন, বাংলাদেশ পুরো বিশ্বের জন্য একটি আদর্শ দৃষ্টান্ত। যেভাবে গত ৪০ বছরে দারিদ্র্য দূরীকরণ হয়েছে, মৃত্যুহার কমেছে এবং গড় আয়ু বেড়েছে, তা একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। কিন্তু পাশাপাশি ভুলে গেলে চলবে না, এখনকার মূল চ্যালেঞ্জগুলো হলো— নারী-পুরুষের বৈষম্য, মেরুকরণ এবং তরুণদের নিজেদের সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ও বহির্ভূত ভাবার প্রবণতা। অতীতে কানাডা সব সময়েই বাংলাদেশের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে। ভবিষ্যতেও যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পাশে থাকবে কানাডা।

অনুষ্ঠানের সভাপতি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ শুরু থেকেই কানাডিয় হাইকমিশনের সহায়তায় শিক্ষা, গবেষণা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং এ সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। আমরা গর্বিত যে কানাডার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে নিয়োগ লাভের পর প্রথম জনসম্মুখে বক্তৃতা দিয়েছেন আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই এবং আশা করছি কানাডা এবং বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার সূত্র ধরে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।

এসএসএইচ

Link copied