না থেকেও গুনতে হচ্ছে সিট ভাড়া

Dhaka Post Desk

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, কুবি 

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৮:৫২ পিএম


না থেকেও গুনতে হচ্ছে সিট ভাড়া

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। সেইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে আবাসিক হলগুলোও। তবে এ সময়ে হলে অবস্থান না করলেও সিট ভাড়া গুনতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো বন্ধ রয়েছে। গেল বছরের ২১ ডিসেম্বর থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়। পরীক্ষা শুরু হলেও বন্ধ রয়েছে আবাসিক হলগুলো।

তবে আবাসিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করার সময় হলের বকেয়া পরিশোধ করতে হয়। করোনার কারণে অনেক শিক্ষার্থী পারিবারিকভাবে সংকটে থাকার কারণে হলে না থেকেও সিট ভাড়া দেওয়া নিয়ে পড়েছেন বেকায়দায়।

করোনাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের মেসের ভাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৬০ শতাংশ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের থেকে এ নিয়ম মেনেই বাড়ির মালিকরা ভাড়া নিয়েছেন। কিন্তু হলের সিট ভাড়া মওকুফ বা কমানো নিয়ে প্রশাসন থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসন মেস মালিকদের ভাড়া কমাতে অনুরোধ করলেও আবাসিক হলের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিনিধির। তারা জানান, করোনার কারণে তাদের অনেকেরই পারিবারিক আর্থিক অবস্থা খারাপ। প্রায় ১২ মাস হলের সিট ভাড়া জমে থাকায় এই বকেয়া পরিশোধ করতে সমস্যা হচ্ছে। মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের ভাড়া কমানোর জন্য প্রশাসন উদ্যোগ নিলেও হলের সিট ভাড়া মওকুফের বিষয়ে কেন নীরব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এ জে রাব্বি বলেন, ‘করোনার সময় ব্যক্তিমালিকানাধীন মেস ভাড়া নিয়ে যারা সবাইকে পথ দেখাল, তারা নিজেদের বেলায় কীভাবে এত উদাসীন, তা বোধগম্য নয়।’

আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘করোনায় মধ্যবিত্ত সব পরিবারই আর্থিক টানাপোড়েনে পড়েছেন। ফলে হলে অবস্থান না করেও সিট ভাড়া পরিশোধ বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ প্রশাসন চাইলেই সিট ভাড়া মওকুফ করতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, ‘সিট ভাড়া মওকুফ করা তেমন কঠিন বিষয় নয়। শিক্ষার্থীরা লিখিত আবেদন জানালে আমরা মওকুফের ব্যবস্থা করে দেব।’

এমএসআর

Link copied