পাবিপ্রবিকে আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হবে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) দায়িত্ব নিয়েছেন নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। দায়িত্বগ্রহণের পরই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, দেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাভাবনা ও আদর্শ আমাদের অনুসরণ করতে হবে। এছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার প্রচেষ্টায় পাবিপ্রবিকে একটি আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করলে অল্প দিনের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি হবে দেশবাসীর কাছে। দেশ, জাতি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা হবে আমাদের প্রধান অঙ্গীকার।
নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বাস্তবায়নের জন্য আমাদের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সবার চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা ও দক্ষতার সম্মিলনে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।’
রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) বিজন কুমার ব্রহ্মের সঞ্চালনায় অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ফার্স্ট ক্যাপিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হযরত আলী।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। পরে সাড়ে ১২টার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ স্মারক ম্যুরাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’, স্বাধীনতা চত্বর ও শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে নিজ দফতরে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।
উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক হাফিজা খাতুনকে। এর আগে গত ৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলীর মেয়াদ শেষ হয়। ২০১৮ সালের ৭ মার্চ নিয়োগ পাওয়া রোস্তম আলীর বিরুদ্ধে শতাধিক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছিল। এসব অভিযোগে তার দাযিত্ব পালনের প্রায় পুরোটা সময়ই শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে উত্তপ্ত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি।
রাকিব হাসনাত/আরএআর
