উপাচার্যের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে সড়কে ববি শিক্ষার্থীরা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আন্দোলন নিরসনে উপাচার্যের ডাকা বৈঠকে কোনো সমাধান আসেনি। উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিন তিন দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সুজয় শুভ জানান, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, ববি প্রশাসন থেকে মামলা এবং আবাসন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি প্রক্টোরিয়াল বডির দায়িত্বহীনতার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। কিন্তু উপাচার্য স্যার আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিতে বলেছেন এবং তিনি দাবিগুলো বিবেচনা করে দেখবেন। তিনি আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের দাবিগুলো আমি শুনেছি। বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ভোলা সড়কের মুখে এবং শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর টোলঘরে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এমনকি তারা স্থানীয় দৈনিক বরিশালের মুখপাত্রের ফটো সাংবাদিক ইমরান হোসেনকে মারধর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়েছেন।
আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন বাসদ বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন, সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী। তারা জানিয়েছেন, ঘুমন্ত শিক্ষার্থীদের মেস থেকে নামিয়ে যারা মারধর করেছে তাদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। শিক্ষার্থীদের যুক্তিপূর্ণ আন্দোলনে আমরা পাশে রয়েছি।
আন্দোলনে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল না করায় পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে শ্রমিকরা ছাত্রদের মেসে ঢুকে মারধর করেন। এতে ১১জন শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি