ঢাকা কলেজের উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান করা হচ্ছে
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেছেন, ঢাকা কলেজের উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশের প্রথম ও ঐতিহ্যবাহী কলেজ হিসেবে এর প্রতি আমাদের আলাদা আবেগ রয়েছে। সব কলেজের চেয়ে এই কলেজের অবকাঠামো এবং সার্বিক পরিবেশ সবচেয়ে সুন্দর হবে এটি আমাদের প্রত্যাশা।
মঙ্গলবার (৩১ মে) ঢাকা কলেজ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বলেন, শিক্ষায় আমাদের দুটি প্রসেস (কার্যধারা) রয়েছে। একটি হলো বিদ্যমান আমাদের যে সব অবকাঠামো রয়েছে সেগুলোকে সুন্দর ও শক্তিশালী করা। আরেকটি হলো যেখানে কিছু নেই সেসব এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা। বিগত কয়েক বছরের কাজ পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে বিভিন্ন এলাকায় নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়েছে, বড় বিল্ডিং হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। প্রয়োজন অনুসারে গ্রামেগঞ্জে অনেক নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারের পক্ষ থেকে করে দেওয়া হয়েছে।
মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে উন্নয়ন করতে পারলেও প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোর দিকে আমাদের মনোযোগী হতে পারিনি। আমার মনে হয় গুরুত্ব অনেক কম দিয়ে ফেলেছি। এখন সেসব প্রতিষ্ঠানের পরিবেশকে আরও সুন্দর করার জন্য ও এই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণে আমাদের ইচ্ছা আছে। আর সে কারণেই আজকে ঢাকা কলেজে এসেছি।
ঢাকা কলেজের বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকারের কোন চিন্তা আছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঢাকা কলেজ আবাসিক কলেজ নয়। এরপরও এখানে যতটুকু আবাসিক সুবিধা রয়েছে সেটা আমরা কিভাবে সুন্দর করতে পারি সেই চেষ্টা করব। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তত একটা বড় হোস্টেল ও শিক্ষকদের জন্য কোয়ার্টার করা যায় তাহলে অনেকটা সংকট কেটে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আসলে এখানে ঘুরে দেখে মনে হয়েছে ঢাকা কলেজে অনেক কিছুই করার সুযোগ রয়েছে। এখানকার বিল্ডিং অনেক পুরনো। শিক্ষার্থীদের ক্লাসের ভালো সুবিধা নেই। তাই ঢাকা কলেজের একটি মাস্টারপ্ল্যান করে কিভাবে পরিবেশ সুন্দর করা যায় সেটির ব্যবস্থা করা হবে।
সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, প্রয়োজনে এখানে নতুন একটি একাডেমিক বিল্ডিং করতে এবং পুরনো বিল্ডিং মেইনটেনেন্স (রক্ষণাবেক্ষণ) করে সুন্দর করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এ.টি.এম মইনুল হোসেন, ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদারসহ অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
আরএইচটি/আইএসএইচ