ডিপোর মালিককে গ্রেপ্তারসহ চার দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের

সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় কেমিক্যাল আমদানি ও সংরক্ষণের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি ও নিরাপত্তার নীতি লঙ্ঘনের দায়ে ডিপোর মালিক মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার এবং হতাহত ও তাদের পরিবারকে যথাযোগ্য ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
সোমবার (৬ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা। তাদের অন্য দুটি দাবি হলো- বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি ও অবহেলা নির্ণয়ের জন্য সুষ্ঠু তদন্ত এবং ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিকায়ন করা।
সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোর মালিক কর্তৃপক্ষ কেমিক্যাল মজুদ করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করেননি, তাই এ বিস্ফোরণে মৃত্যুর জন্য অবশ্যই মালিক কর্তৃপক্ষ দায়ী। যারা ডিপোতে দায়িত্বরত ছিল তাদের দায়িত্বহীনতার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যারা আইনভঙ্গ করে সরকারি দলের ছত্রছায়ায় লাইসেন্সবিহীন শতশত কোটি টাকার অবৈধ রাসায়নিক আমদানি করছে তাদের মুখ উন্মোচন করতে হবে এবং তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
এছাড়াও আমরা দাবি জানাচ্ছি, ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারকে এক কোটি টাকা ও আহতদের ৫০ লাখ টাকা এবং নিহতদের ছেলে-মেয়েরা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত তাদের পড়াশোনা ও উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে উদ্দেশ করে ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, আজকে আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র অধিকার পরিষদের দাবি শুনেছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিপোর মালিক মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে হবে। যদি আপনারা তাকে গ্রেপ্তার না করেন তাহলে ছাত্র অধিকার পরিষদ শিক্ষার্থীদের নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, আজকে বাংলাদেশে শিক্ষার্থী, শ্রমিক সর্বোপরি সাধারণ মানুষের কোনো মূল্য নেই। আমরা আজকের এই কর্মসূচি থেকে স্পষ্ট দাবি জানাচ্ছি, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সবাইকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। দেশে রসায়নিক দ্রব্যের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়াও সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আখতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেনসহ পরিষদের কেন্দ্রীয়, ঢাবিসহ বিভিন্ন শাখার অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এইচআর/জেডএস