ঢাবিতে বঙ্গবন্ধুকে চিঠি লেখা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

জাতির জনকের কাছে বর্তমান প্রজন্মের না বলা কথাগুলো ব্যক্ত করার অভিপ্রায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের উদ্যোগে ষষ্ঠবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বঙ্গবন্ধুকে চিঠি লেখার প্রতিযোগিতা-২০২২।
‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে গত ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশের বিভিন্ন বয়সের প্রতিযোগীদের কাছ থেকে চিঠি সংগ্রহ করা হয়। এবারের প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৪৯০টি চিঠি থেকে বাছাই করে সিনিয়র জুনিয়র দুই ক্যাটাগরিতে পাঁচ জন করে মোট ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনের আরসি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: শব্দ দূষণের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীর একক অবস্থান
সিনিয়র ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন সুশীল মালাকার, শৈহাইনু মার্মা, রাতুল চৌধুরী, অমিয় ভৌমিক পলক ও কানিজ ফাতিমা কণিকা এবং জুনিয়র ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন আয়েশা ছিদ্দিকা তাসমি, সূর্য কুমার শীল, রনিত অধিকারী, সামিহা খান ও ফাতিন হাসনাত।
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী পর্বের মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও প্রখ্যাত গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মোজাম্মেল হোসেন (মঞ্জু), শিক্ষক, গবেষক ও নাট্যকার ড. রতন সিদ্দিকী এবং মুন্সীগঞ্জের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী অনুষ্ঠানের সভাপ্রধানের ভূমিকা পালন করেন। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আবৃত্তিশিল্পী, নাট্যব্যক্তিত্ব ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ড. ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের সহযোগী সংগঠন ‘আমরা ক’জন মুজিব সেনা’র সভাপতি সাঈদ আহমেদ বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু তোহা।
ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজন সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি সাদিয়া আশরাফী থিজবী বলেন, বঙ্গবন্ধু যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে গেছেন আমৃত্যু, সেই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনার ওপর যখনই কোনো সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আঘাত হানার চেষ্টা করেছে, আমরা মানববন্ধন, সাংগঠনিক বিবৃতি প্রদান কিংবা প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে আমাদের ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক ভাবে অবস্থান জানান দিয়েছি। প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেছি। আজকের আয়োজনেও আমরা তার ছাপ রেখেছি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জয় দাস বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যেখানে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা হয় সেখানে ধর্মান্ধতা বাসা বাঁধতে পারে না। তাই আমাদের এই সাংস্কৃতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বাংলাদেশের স্বার্থে।
এইচআর/এসএসএইচ