নতুন হলে আসন বরাদ্দের দাবিতে জাবি ছাত্রীদের বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেসা হলের সব ছাত্রীকে নবনির্মিত আবাসিক হলে সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছে হলটির শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফজিলাতুন্নেসা হলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যা অব্যাহত ছিল।
ফজিলাতুন্নেসা হলের শিক্ষার্থীদের দাবি— এই হলটি বন্ধ করার চিন্তা রয়েছে প্রশাসনের। সে কারণে হলে কোনো সংস্কারকাজও পরিচালনা করা হয় না। এই হলের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা এখনও শিক্ষক কোয়ার্টারে গাদাগাদি করে থাকেন। আর তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলেই গণরুমে থাকেন। পুরোনো হওয়ায় এই হলটি পরিত্যক্ত হওয়ার পথে।
এ অবস্থায় ফজিলাতুন্নেসা হলের শিক্ষার্থীদের নতুন হলে সরিয়ে নেওয়ার দাবি উঠেছে। এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকেই শিক্ষার্থীদের একটি করে অংশ নতুন হলে থাকার সুযোগ পাবেন।
এরপরই বুধবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান ও প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান সেখানে যান। গিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফজিলাতুন্নেসা হলের চতুর্থ বর্ষের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, অনেক আগে থেকেই বলা হচ্ছে আমাদেরকে সবার আগে নতুন হলে উঠানো হবে। কিন্তু এখন এসে আবার উল্টো কথা বলা হচ্ছে। আমরা চাই, সবাই একসঙ্গে নতুন হলে উঠব এবং তা শিগগিরই।
হল প্রাধ্যক্ষ এটিএম আতিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের প্রথম প্রাধান্য হলো গণরুম বন্ধ করা। সব হলেই গণরুম রয়েছে, তাই সব হল থেকেই শিক্ষার্থীদের নতুন হলে উঠানো হবে বলে প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন ছাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এ প্রকল্পের আওতায় ছাত্র ও ছাত্রীদের তিনটি করে মোট ছয়টি আবাসিক হলের নির্মাণকাজ শেষ দিকে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, ছয়টি হলের মধ্যে একটি করে ছাত্র ও ছাত্রীদের হল চলতি মাসেই উদ্বোধন করে শিগগিরই খুলে দেওয়া হবে।
মো. আলকামা/এসএসএইচ