বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাপুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাপুনর্মিলনী ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বুয়েট খেলার মাঠে জমকালো এ আয়োজনে দেশ-বিদেশের প্রায় ছয় হাজার প্রকৌশলী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা যোগ দেন।
দিনব্যাপী এই মহাপুনর্মিলনীর বর্ণাঢ্য আয়োজনে ছিল উদ্বোধনী অধিবেশন, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রাতরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, নৈশভোজ ও বুয়েটের কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার প্রদানসহ বিনোদনের আরও অনেক আকর্ষণীয় কার্যক্রম। সতীর্থদের সঙ্গে মিলিত হয়ে স্মৃতিচারণ ও মনোজ্ঞ আয়োজনে অংশ নেওয়ায় মহাপুনর্মিলনী অনুষ্ঠান এক মহামিলনে পরিণত হয়।
পুনর্মিলনী উপলক্ষে বর্ণিলভাবে সাজানো হয় বুয়েটের খেলার মাঠ। এই মাঠের পাশে ছিল উদ্বোধনীর নয়নাভিরাম মঞ্চ। মঞ্চের পাশে ছিল কফি বুথ, মধ্যাহ্নভোজ, নৈশভোজনের জন্য প্যান্ডেল। এর পাশে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের শিশুসন্তানদের জন্য খেলার আয়োজন, যেখানে ছিল— বায়স্কোপ, পুতুল নাচ, রাইট, নাগরদোলাসহ আরও অনেক কিছু।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান। সভায় সভাপতিত্ব করেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ, পরিবেশ বিজ্ঞানী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।
অনুষ্ঠানের বক্তারা বুয়েট অ্যালামনাইদের দেশে-বিদেশে অসামান্য কৃতিত্বপূর্ণ অবদান, বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য, বিগত দিনের কার্যক্রম, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রশাসনের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে আগামীতে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বর্তমানের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি দক্ষ হয়ে বের হবে।
অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনার বিষয় ছিল ‘প্রকৌশল শিক্ষার বিবর্তন এবং ভবিষ্যৎ’। প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বুয়েটের কেমিক্যাল অ্যান্ড মেটিরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তামিম।
আরও উপস্থিত ছিলেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব প্রকৌশলী মাহ্তাব উদ্দিন, মহাপুনর্মিলনী-২০২৩ আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মুনীর উদ্দিন আহমেদ এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ক ও বুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ট্রাস্টি প্রচার, প্রকাশনা ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী ইমু রিয়াজুল হাসান।
গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বুয়েট অ্যালামনাই প্রকৌশল ১৯৭২ এবং স্থাপত্যে ১৯৭৩ ব্যাচের গ্র্যাজুয়েটদের ৫০ বছর এবং প্রকৌশল ১৯৯৩ এবং স্থাপত্যে ১৯৯৫ ব্যাচের গ্র্যাজুয়েটদের ৩০ বছর পূর্তিতে সংবর্ধনা জ্ঞাপনে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশের অবকাঠামো নির্মাণসহ প্রকৌশলের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৭২ ব্যাচের ১১৩ জন এবং প্রকৌশল ১৯৯৩ ব্যাচের মধ্যে ১৮১ জন এবং স্থাপত্যে ১৯৯৫ ব্যাচের ১৬ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
/এসএসএইচ/