ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের হুমকি নোবিপ্রবির সমাজকর্মের শিক্ষার্থীদের

শ্রেণিকক্ষ সংকট সমাধানসহ তিন দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের হুমকি দিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান করে। এ সময় তাদের দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা যায়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ক্লাস রুম বরাদ্দ দিতে হবে, লাইব্রেরিতে বই সংযুক্ত করতে হবে ও অফিস ফ্যাসিলিটিস বাড়াতে হবে।
জানা যায়, সমাজকর্ম বিভাগ প্রতিষ্ঠার ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও মাত্র একটি শ্রেণি কক্ষ দিয়ে পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা। অন্য একটি বিভাগের সাথে অফিস কক্ষ শেয়ার করলেও নেই নিজস্ব সেমিনার ও বই। এতে করে তিন ব্যাচের সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করতে হয়ে। ক্লাস না থাকলে লাইব্রেরিতে বসতে গেলেও সেখানে বিভাগের কোনো বই না থাকায় নানান সমস্যায় পড়ছেন তারা।
সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. ত্বকী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ৩টা ব্যাচ একটি ক্লাসে পাঠদান করি। সকালে একটা ক্লাস হলে বিকালে আরেকটা ক্লাস হয়। এতে করে সারাদিন ভার্সিটিতে থাকতে হয়। লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়বো তার সুযোগও নেই। সেখানে আমাদের বই নেই।
তিলোত্তমা দাস নামের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত সব কিছুর ব্যবস্থা করুক। শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করুক।
আফরোজা নামের এক শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষক সংকটও রয়েছে আমাদের। ৩ জন শিক্ষক দিয়ে আমাদের ৩টা ব্যাচ পড়ানো হচ্ছে। সেমিস্টারের আগে ছুটি থাকার কথা থাকলেও তখনও ক্লাস সিটি থাকে। এতে করে আমাদের অসুবিধা হয়।
শরীফুল ইসলাম নামের প্রথম ব্যাচের একজন শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের শিক্ষকরা আমাদের বলেছেন ১৫ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা করবেন। আমরা কেবল আশ্বাস চাই না, আশ্বাসের বাস্তবায়ন চাই। ১৫ দিনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করব।
সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক চয়ন শিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, শ্রেণি কক্ষ-অফিস কক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আমাদের ও অনেক অসুবিধা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৫ দিনের সময় দিয়েছেন। সমাধানের আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে। আশা করি ১৫ দিনের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক শাহিন কাদির ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। তাদের দাবিগুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে কথা বলেছি। স্যার, শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নে আন্তরিক। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাদের জন্য নতুন কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হবে। অন্য দাবিগুলো খুব দ্রুত সমাধান করা হবে।
হাসিব আল আমিন/এনএফ